কথা বললেও ছড়াতে পারে করোনা

31

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ও কথা বললেও ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ বিজ্ঞানী। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের সংক্রামক রোগের প্রধান অ্যান্থনি ফাউছি একথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যখন করোনার বিস্তার ঠেকাতে জনগণকে মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে, তখন এই আশঙ্কার কথা জানালেন তিনি। গত বছরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছিল। এরপর তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে দশ লাখের বেশি মানুষ। বিশ্বের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে। শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে সাত সহস্রাধিক মানুষের।
অ্যান্থনি ফাউছি বলেন, মাস্ক ব্যবহারের নীতিমালার পরিবর্তন আনা হতে পারে। কারণ সম্প্রতি যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা অনুসারে ভাইরাসটি শুধু যে কাশি ও নাক ঝাড়ার মধ্য দিয়ে ছড়ায় তা নয়, এটি স্বাভাবিক কথা বলাতেও ছড়াতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহারের নীতিমালাতে বলা হয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। বাড়িতে রোগীদের যারা সেবা দেবেন তাদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস (এনএএস) ১ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের কাছে ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণার সারাংশ তুলে একটি চিঠি পাঠায়। এরপরই ফাউছি এই মন্তব্য করলেন। সারাংশতে বলা হয়েছে, যদিও এটি এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে গবেষণার প্রাপ্ত তথ্যে প্রতীয়মান হচ্ছে স্বাভাবিক প্রশ্বাসেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসটির প্রাথমিক সংক্রমণের উপায় হলো কাশি ও নাক ঝাড়ার মাধ্যমে নিঃসৃত তরলের মাধ্যমে। যা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ছড়িয়ে পড়ে। এর সংস্পর্শে আসা সুস্থ ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি তা সত্যিকার অর্থে প্রশ্বাস ও কথা বলার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এর বিস্তার ঠেকানো আরও কঠিন হয়ে পড়তে পারে।