কথা ও কবিতায় বোধনের ‘আনন্দ ভৈরবী’

72

বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম সৃজনশীল সম্ভারের নতুনত্ব ভাবনায় সর্বদা ব্যতিক্রম। সময়ের মশালে জ্বেলে আলোর বুনন করতে বদ্ধপরিকর। তাই বোধনের তেত্রিশ বছরেও অনুষ্ঠান পরিক্রমায় সে ধারা এগিয়ে চলছে সূর্যোদয়ের দিকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিক্রমায় সে আবহ অটুট রয়েছে সময়ের আবর্তন পরম্পরায়। আজ তেমনি এক ভাবনায় পালক জুড়িয়ে দিয়েছে বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রাম এর ৪৯ আবর্তনের প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থীরা। যারা বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের মূলধারার সম্পৃক্তায় বোধের প্লাটফরমে আনন্দ সরবে ছুটছেন। গত শনিবার নগরীর থিয়েটার ইনিস্টিটিউট চট্টগ্রাম এর গ্যালারী হলে তেমনি এক প্লাটফরম আনন্দ ভৈরবীতে একক পরিবেশনায় বোধনের ৪৯ আবর্তনের শিক্ষার্থীরা। নান্দনিক পরিকল্পনায় এবারের আনন্দ ভৈরবীর মঞ্চে অতিথি ছিলেন কবি অধ্যাপক সেলিনা শেলী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সচিব মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাসকিয়া তুন নূর তানিয়া। অতিথিরা বলেন, শিল্পের সাধনায় কোন চাতুর্য কাজ করেনা। অধ্যবসায়ই শিল্প সাধনার অন্যতম হাতিয়ার। তাই মনের ক্লীবতা ভেঙে মনের সুপ্ত সুকুমার বৃত্তিকে সজীব করতে চর্চার বিকল্প নেই। এ পর্বে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিকতার ভাবনা তুলে ধরেন বোধন আবৃত্তি পরিষদের অর্থ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী অনুপম শীল। এরপর আবৃত্তিশিল্পী পল্লব গুপ্ত এবং অজান্তা দাশ টুম্পার সঞ্চালনায় একক পরিবেশনায় অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী জসীম উদ্দিন, ফারজানা চৌধুরী, স্মিতা বড়ুয়া, অনামিকা সেন, জলিল উল্লাহ, মো. সাজ্জাদ হোসেন, ইরফানুল হক, উর্মি দেবী, এ বি এম আলবিরুনী, এ্যানি চৌধুরী, মিনহাজ আলীম ও অমিতা দেবী। শিল্পীদের স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশনায় কখনো দেশের প্রতি ভালোবাসার দায়বদ্ধতা, কখনো প্রিয়জনের জন্য পুঞ্জীভূত উচ্ছ¡াসের প্রেরণা, কখনোবা শত্রুর প্রতি ঘৃণা প্রকাশের উদ্ধৃতি শিল্পীদের অবিপনেয় ভাবনায় কণ্ঠে ধারণ করেন। যেখানে সুপ্ততাড়নায় বন্ধুর প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিলো না। বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম’র সাধারন সম্পাদক এস এম আবদুল আজিজ এর বক্তব্যে শেষ হয় আনন্দ ভৈরবীর আয়োজন। বিজ্ঞপ্তি