কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

17

পূর্বদেশ ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহিংসতার বিষয়টি আলোচনা এলে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আজকের কেবিনেট মিটিংয়ে এটা স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, খুব কঠোর অ্যাকশনে যেতে হবে। যারা যারা জড়িত আছে তাদের অবশ্যই ধরতে হবে।
পাশাপাশি জনগণকে বলতে হবে যে রিঅ্যাকশন করা যাবে না। কেউ যদি কোরআনের অবমাননা করে, কোরআন আমাকে কোনো অথরিটি দেয়নি যে আমি গিয়ে তার ধর্মের কোনো কিছু ভাঙব। সেটা ঠিক না হোক, আরো বড় অপরাধ হলেও এটা সকলকে খেয়াল রাখতে হবে, ইসলাম ডাস নট গিভ এনি অথরিটি টু এনি মুসলিম। খবর বিডিনিউজের।
দুর্গাপূজার মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, রংপুরসহ কয়েকটি জেলায় সা¤প্রদায়িক হামলার শিকার হয় হিন্দুদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন জেলায় সা¤প্রদায়িক হামলার এসব ঘটনায় মোট ৭১টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ৪৫০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমি প্রতিবাদ করতে পারি, সরকারের কাছে দাবি করতে পারি যে এটা ধরে বিচার করে তাকে শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু আমি গিয়ে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করব-এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ইসলামে। এটা হলো ফিতনা। ফিতনা হলো সবচেয়ে বড় অপরাধ।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হোম মিনিস্টিারের সাথে আমরা গত কয়েকদিন ধরে এটা হ্যান্ডেল করছি। আজও হোম মিনিস্টারকে বলেছেন, ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে টু টেইক অ্যাকশন।
যারা এগুলোর সূত্রপাত করল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ধরতে হবে। পাশাপাশি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব যারা আছেন, তাদের বলা হয়েছে জনগণের সাথে শেয়ার করার জন্য যে, ছোটখাটো কোনো টুইস্টিং কেউ করলে রিঅ্যাকশন করতে পারবে- এটা ইসলাম অনুমোদন করে না।