কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা ট্রলারের আরও ৫ জনের লাশ উদ্ধার

29

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে কক্সবাজার উপকূলে ভেসে আসা ট্রলারের আরও পাঁচ জেলের লাশ পাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। তাদের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে বুধবার সকালে ট্রলারটি থেকে ৬ জনের লাশ এবং ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন গতকাল শুক্রবার জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হিমছড়ি ও মহেশখালীর হোয়ানক থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজারের সমিতি পাড়া এলাকার সাগরে আরও তিনজনের লাশ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, যে ১১ জনের লাশ পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে নয়জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন রসুলপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আসমান পাটোয়ারীর ছেলে শামছুদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫), পূর্ব মাদ্রাজ এলাকার মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে মোহাম্মদ বাবুল (৩২), উত্তর মাদ্রাজ এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ (৪৫), একই এলাকার মৃত বুজুগ হাওলাদারের ছেলে আজি উল্লাহ ওরফে মনির (৩৮), মৃত মোহাম্মদ নুরের ছেলে অলি উল্লাহ (৫০), রসুলপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শষীবিষন এলাকার মুসলিম বলির ছেলে জাহাঙ্গীর বলি (৪০) এবং পূর্ব মাদ্রাজের মো. তরিক মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)। খবর বিডিনিউজের
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে বাকি চারজনের লাশ অনেকখানি বিকৃত হয়ে গেছে, ফলে চেনার উপায় নেই। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দুইজন এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে’।
চরফ্যাশনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, নিহত জেলেদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে সহায়তা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আর দাফনের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলে মনির আহমদ ওরফে জুয়েল মাঝি জানান, গত ৪ জুলাই ভোলার চরফ্যাশনের ছমরাজ ঘাট থেকে তারা ১৪ জন মাছ ধরতে সাগরে বেরিয়েছিলেন। ৬ জুলাই ভোরে ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে তাদের ট্রলার উল্টে যায়। পরে ঢেউয়ের ধাক্কায় তারা কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছান।