কক্সবাজারে ২ পর্যটক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক ৩

15

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে একদিনে দুই পর্যটক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার ইনানীতে তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপে (সী পার্ল) এক পর্যটক তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে এ ঘটনায় তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ স্বামী পরিচয় দেওয়া নাছির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল বলেন, হোটেল রয়েল টিউলিপের একটি কক্ষে অবস্থান নেওয়া যুবকের সঙ্গে থাকা তরুণীটি বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়েল টিউলিপের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার দুপুরে মারফুয়া খানম (২৩) ও নাছির উদ্দিন (২৬) নামে দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রয়েল টিউলিপে উঠেন। তাদের ৫১০১ নম্বর রুম বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর তারা ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র হোটেলকক্ষে রেখে সমুদ্রসৈকতে নামেন। ফিরে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিজেদের কক্ষে অবস্থান নেন দুজন। এর কিছুক্ষণ পর তরুণীর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কথা অবহিত করা হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্বামী পরিচয় দেওয়া নাছির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রেমিক-প্রেমিকা বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ওই তরুণীর অভিভাবকদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই তরুণীর বাড়ি ঢাকার পল্লবী বলে জানা গেছে। এর আগে একইদিন দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার চার দিনের মাথা লাবণী আকতার নামে আরেক পর্যটক তরুণীর মৃত্যু হয়। গত ১১ মে ঢাকা থেকে চার বন্ধুর সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে হোটেল বিচ হলিডে-তে উঠেন ওই তরুণী। গত ১৪ মে সকালে সেখানে তরুণীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বন্ধুরা তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় তরুণীর সঙ্গে আসা চার বন্ধুর মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে কামরুল আলম (২০) ও আবদুর রহমানের ছেলে আরিফ রহমান নিলু (২১)। লাবণী আকতার নামে ওই তরুণীও যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। অতিরিক্ত মদপানে লিভারসহ শরীরের নানা অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ায় ব্যাপক চেষ্টার পরও তাকে সুস্থ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।