কক্সবাজারে ১৮টি ট্রলার ডুবি

14

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কক্সবাজারে। গতকাল সোমবার ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ১৩টি ও কুতুবদিয়ায় ৫টি ফিশিং ট্রলার ডুবে গেছে।
জানা যায়, সেন্টমার্টিনে প্রবল বেগে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। এর ফলে বেশকিছু গাছপালা ভেঙে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে। ডুবে গেছে ঘাটে নোঙর করা ১৩টি ফিশিং ট্রলার। এরমধ্যে একটি যাত্রী পারাপারের বোটও রয়েছে।
অন্যদিকে সকাল থেকেই জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বীপে। কিছু কিছু জায়গায় পানিও ঢোকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, গাছপালা ভেঙে পড়ার কারণে প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ট্রলারও ডুবে গেছে। লোকজনকে নিরাপদে রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় কাজ চলছে।
সমুদ্রবেষ্টিত সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া ৪ শতাধিক পর্যটককে পর্যটকবাহী জাহাজের মাধ্যমে গত রবিবার রাতে ফিরিয়ে আনা হয়। এই মুহূর্তে সেখানে কোনো পর্যটক আটকা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে দ্বীপে প্রাণহানি ঠেকাতে তারা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। অপর এক সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়ায়ও ৫টি ফিশিং ট্রলার ডুবে গেছে।
তবুও ভিড় সৈকতে

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রে ঢেউয়ের আকার বৃদ্ধি ও উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দমকা হাওয়া ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এরপরও সৈকত ছেড়ে যায়নি পর্যটক বা স্থানীয়রা। সংকেতের মধ্যেও লোকজনের ভিড় দেখা গেছে।
তবে লাইফগার্ড ও সৈকতকর্মীরা পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন, মাইকিংও করছেন। তবে নির্দেশনা না মেনে অনেকে সমুদ্রে নামার চেষ্টা করছেন। এজন্য টুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মাসুম বিল্লা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সেটি অবস্থান করছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। এছাড়া গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত মানতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।