কক্সবাজারে হোটেল মোটেল জোনের দালাল চক্রের হোতা গ্রেপ্তার

16

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনে ‘টর্চার সেলে’ আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় আরো একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে দালাল চক্রের মূল হোতা বলছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গত রোববার মধ্যরাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের নীলিমা রিসোর্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ নিয়ে এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে শনিবার মধ্যরাতে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. আব্দুল মালেক (৩৮) কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার মৃত গোরা মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, রোববার মধ্যরাতে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন নীলিমা রিসোর্টের সামনে ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের হোতা মো. আব্দুল মালেক অবস্থান করছে খবরে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক এক ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পর্যটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কথিত টর্চার সেলে পর্যটকদের জিম্মি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের হোতা আব্দুল মালেক জড়িত থাকার তথ্য পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনে সক্রিয় দালাল ও অপরাধী চক্রের ব্যাপারে সে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
রেজাউল করিম বলেন, আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে সক্রিয় ‘দালাল চক্রের’ সদস্যরা আগত পর্যটকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা এবং বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে নানাভাবে হয়রানি করত। এ চক্রটি কম ভাড়ায় ভালো মানের হোটেলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে কমিশন বাণিজ্যের পাশাপাশি পর্যটকদের অপরাধীদের হাতে পর্যটকদের তুলে দিত।
উল্লেখ্য, গত ৮ অগাস্ট কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় একটি নির্যাতন কেন্দ্রের (টর্চার সেল) সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় কটেজ ব্যবসার আড়ালে নির্যাতন কেন্দ্রে জিম্মি রাখা দুই পর্যটক ও দুই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে সাইনবোর্ডবিহীন ‘শিউলি রিসোর্ট’ নামের ওই আবাসিক কটেজে তল্লাশি চালিয়ে নির্যাতন চালানো ও ‘আপত্তিকর কাজে’ ব্যবহৃত বেশ কিছু উপকরণ জব্দ করা হয়।
ঘটনার পরদিন ৯ অগাস্ট সকালে ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মো. বেলাল আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১১ জনকে আসামি করে কক্সবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১১ আসামির মধ্যে আট জন পুরুষ ও তিন জন নারী রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।