কক্সবাজারে হোটেল কর্মীর লাশ উদ্ধার

3

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের একটি আবাসিক হোটেলের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে খালেদ আশরাফ বাপ্পি (২২) নামে যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক ‘সি কক্স’ নামে আবাসিক হোটেলে খন্ডকালীন চাকরি করতেন। তার পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বাপ্পি সদরের বাংলাবাজার কাজী অফিস সংলগ্ন নয়াপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ গফুরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
বাপ্পির মা রোকেয়া বেগম বলেন, হোটেল সংলগ্ন ব্যবসায়ী মুফিজ নামের এক যুবকের সাথে ছেলের রেস্টুরেন্টে ব্যবসা ছিলো। বাপ্পি মুফিজকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা দিয়ে ছিল রেস্টুরেন্টের জন্য। ব্যবসার লাভ তো দূরের কথা; করোনার অজুহাতে বাপ্পির পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন মুফিজ। বিভিন্ন সময় টাকা ফেরত চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিতেন মুফিজ। আমরা ধারণা করছি, টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মুফিজই আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
‘সি কক্স’র রিজার্ভেশন অফিসার অর্ণব বলেন, হোটেল থেকে কিছু দূরে হোটেলের স্টাফদের কোয়ার্টার। ওখানে স্টাফরা রাত্রিযাপন করেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ডিউটি শেষ করে বাপ্পি স্টাফ কোয়ার্টারে চলে যান। পরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই সময় কোয়ার্টারটিতে কেউ ছিল না।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজ বলেন, লাশটি হাসপাতালে ছিল। সূত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি হোটেল ‘সি কক্স’র ৫ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এক ব্যক্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সেখানকার কর্মীরা। পরে তারা ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা ঘটনাস্থলে এসে রুম তল্লাশি করে আলামত হিসেবে ফাঁসের একটি গামছা ও মোবাইল জব্দ করি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে জানতে পারি। এরপরও যদি কোনো অভিযোগ পাই, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।