কক্সবাজারে চিংড়িঘের ও লবণ চাষের জমি নিয়ে ফের উত্তেজনা

17

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঈদগাঁও পোকখালীতে রাত হলেই শোনা যায় গুলির শব্দ। আর এতে আতংকে রাত কাটাচ্ছেন শত শত পরিবারের সহস্রাধিক মানুষ। এতে করে আবারও রক্তের হলিখেলা শুরু হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি স্বত্ববানদের বিতাড়িত করে প্রায় ৪০০ একরের চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষাবাদের জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি ভূমিদস্যু চক্র।
সূত্রে জানা গেছে, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ ৪০০ একর চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষাবাদের জমি দখলে নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়া করে সন্ত্রাসী জড়ো করেছে। তাদের হাতে রয়েছে বিশাল অস্ত্রভান্ডারও। যে কোন সময় ভূমিদস্যু চক্রটি পুরো এলাকা ঘিরে বেপরোয়া হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে সরেজমিন গিয়ে। জমি দখলের আশংকা থেকে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে পোকখালী ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গোমতলী ওবায়দুল হক চৌধুরীর ঘোনার উপর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ওবায়দুল হক চৌধুরী গং। এসময় দিবালোকে অনেককেই গুলির স্প্রিন্টার গায়ে হাজির হতে দেখা গেছে।
সংবাদ সম্মেলেনে ওবায়দুল হক চৌধুরী গং এর ওয়ারিশ মো. শরিফ নেওয়াজ অভিযোগ করে বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলের ভাই মশিউর রহমান রাজনের নেতৃত্বে তাদের ৪শ একর জমি দখল করে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যুরা। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোমতলীতে এনে জড়ো করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল হক চৌধুরী গং এর ওয়ারিশ মোজ্জামেল হক চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ তালুকদার, জোয়ারিয়া নালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহান, সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লুতু মিয়ার ছেলে মো. শাহীন জাহান, মো. শরিফ নেওয়াজ, শাবেদ নুর চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কলিম উল্লাহ, রুকনুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে মশিউর রহমান রাজন বলেন, ‘ওবায়দুল হক চৌধুরী গংদের ১৯০ একর জমি ছিল। কিন্তু তারা আমিসহ গ্রামের অন্যদের কাছে তা বিক্রি করে দিয়েছে। এর ফলে তাদের আর জমি থাকার কথা নয়। আমার কাছে জমি ক্রয়ের সব কাগজপত্র রয়েছে।’ সন্ত্রাসী ভাড়া করা বা হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।