কক্সবাজারের সব থানা দালালমুক্ত থাকবে

19

কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের জন্য সেবা নিশ্চিতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন নবাগত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বদ্ধপরিকর। পুলিশ জনবান্ধব হয়ে সেবা নিশ্চিত করতে চায়। সাধারণ মানুষের সেবা করতে পুলিশ অঙ্গিকারবদ্ধ। তাই কক্সবাজারের সব থানা থাকবে দালালমুক্ত। ভুক্তভোগী মানুষ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আইনি সহায়তা পাবেন। এর ব্যতিক্রম হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নবাগত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে কক্সবাজার পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে যান। এ সময় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহেরসহ শীর্ষ সাংবাদিক নেতারা তাদের স্বাগত জানান। এসময় নবাগত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যরা।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে ফুল দিয়ে পরিচয় হলাম। এই জেলায় এমন কাজ করতে চাই, বিদায় বেলায় সাধারণ মানুষ যেন ফুল দিয়ে বিদায় জানান।
এসপি আরও বলেন, সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। ব্যাকওয়ার্ড-ফরোয়ার্ড শনাক্ত করে মাদক নির্মূলে কাজ চালানো হবে। ছিনতাই-খুনসহ যে কোনও অপরাধের সঙ্গে জাতিদের ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা চান পুলিশ সুপার।
কক্সবাজারের যানজটকে অন্যতম সমস্যা উল্লেখ্য করে পুলিশ সুপার আরও বলেন, কক্সবজারের যানজট নিরসনে পুলিশ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর সুফলও দ্রুত জেলাবাসী দেখতে পাবেন। একই সঙ্গে পরিবহন সেক্টরসহ যে কোনও চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) পংকজ বড়ুয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান, মো. মুজিবুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, আবদুল কুদ্দুস রানা, মো. নজিবুল ইসলাম, সরওয়ার আজম মানিক, ফরহাদ ইকবাল, দীপক শর্মা দীপু, মাহবুবুর রহমান, ইমরুল কায়েস, সুজাউদ্দিন রুবেল প্রমুখ।
এসময় পুলিশ ইন সার্ভিসের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আবদুল্লাহ মামুন, ডিএসবি’র এএসপি খন্দকার গোলাম শাহনেওয়াজ, কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াসসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ সদস্যদের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর পর কক্সবাজারের পুরো পুলিশ বিভাগকে ঢেলে সাজানো হয়। শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত সব সদস্যদের বদলি করে নতুন করে পুলিশ সদস্যদের সেখানে পদায়ন করা হয়।