কক্সবাজারের চিকিৎসক আক্রান্ত

28

কক্সবাজারের টেকনাফে কর্মরত এক নারী চিকিৎসক চট্টগ্রামে নিজের বাসায় ফেরার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওই চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করে নগরীর নন্দনকাননে তার বাসা অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের অধীনে গাইনি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেন ওই চিকিৎসক।
গত ২৭ এপ্রিল তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গত বুধবার তিনি চট্টগ্রামের বাসায় চলে আসেন।
সিভিল সার্জন বলেন, শুক্রবার পরীক্ষার ফলাফলে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর ওই চিকিৎসক নিজেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।
ওই নারীর স্বামীও একজন চিকিৎসক, তিনিও কক্সবাজারে কাজ করেন। তার নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর ওই চিকিৎসকের নন্দনকাননের বাসা অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭৩ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। এছাড়া বাইরের বিভিন্ন জেলায় চট্টগ্রামের আরও পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন।
কক্সবাজারে আক্রান্ত দুজন কোভিড-১৯ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামে শুক্রবার যে তিনজনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তাদের মধ্যে ৩২ বছর বয়সী এক নারী একজন চিকিৎসকের স্ত্রী বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ওই নারীর স্বামীও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
‘স¤প্রতি ওই নারী অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন। তিনি এখন বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
সিভিল সার্জন কার্যালয় শুক্রবার রাতে জানিয়েছিল, ওই নারীর বাসা চট্টগ্রাম নগরীর রাহাত্তারপুল এলাকায়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, রাহাত্তারপুল এলাকায় ওই নারীর বাসার সন্ধান তারা পায়নি।
পরে শনিবার সকালে জানানো হয়, ওই নারীর বাসা নগরীর কোতোয়ালি থানার হেম সেন লেইনে। তবে ওই বাসায় পুলিশ কাউকে পায়নি।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আক্রান্ত ওই নারীর স্বামী কক্সবাজারে একটি হাসপাতালের চিকিৎসক। স্ত্রীর মাতৃত্বকালীন অসুস্থতার জন্য তারা বেশ কয়েক মাস ঢাকায় ছিলেন।
‘সেখানেই ওই চিকিৎসকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ২৬ এপ্রিল তারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে চলে আসেন। ওই নারীর স্বামী ফৌজদারহাট ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর বিডিনিউজের