ঔষধের মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্নবিত্ত মানুষের নীরব কান্না

18

স্রষ্টা প্রদত্ত প্রাকৃতিক দূর্যোগ মহামারী করোনার কারণে সারা পৃথিবীর মত বাংলাদেশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা মহামারীর ধকল সামলে উঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ববাসীকে আরেক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেই। বিশ্বব্যাপী জ্বালানী সংকট ও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীর ঢেউয়ের আঘাতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ছন্দ পতন ঘটতে থাকে। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মূল্য বৃদ্ধির দৌড়ের সাথে এবার যোগ হয়েছে জীবন রক্ষাকারী ঔষধেরও। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা।
উল্লেখ্য, ঔষধ কোম্পানিগুলো কোন পূর্বঘোষণা ছাড়াই প্যারাসিটামল, রক্তাচাপ, হৃদরোগ, ব্যাথানাশক ও পেটে গ্যাসের সমস্যার ওষুধসহ বিভিন্ন জীবনরক্ষাকারী ঔষধের দাম ৫০% থেকে ১৩৪% পর্যন্তবাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে যেখানে একজন নিম্নবিত্ত মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য মাসে গড়ে ২ হাজার টাকার ঔষধ কিনতে হত সেখানে তার এখন খরচ হবে ৪ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশী। এতে নিম্নবিত্ত মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে আরো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমতাবস্থায় নিম্নবিত্ত মানুষ যাতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেইজন্য মানবিক দৃষ্টিকোণ বিচারে নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানিগুলো যেন একটা যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে ঔষধের মূল্য নির্ধারণে বাধ্য হয় সেইজন্য যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

-হাজী আবদুর রহিম
মতিয়ারপোল মহল্লা কমিটি (যুগ্ম সম্পাদক)
কমার্স কলেজ রোড়, মতিয়ারপোল, চট্টগ্রাম।