ওমরাহ যাত্রীদের যেসব নির্দেশনা মানতে হবে

14

সৌদি আরবে ওমরাহ হজে যাওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ যেসব এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ যাত্রী বহন করে তাদেরও বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়। নতুন এই নির্দেশনা আজ থেকে কার্যকর করা হবে। গতকাল শনিবার সৌদি আরবের মিনিস্ট্রি অব হজ অ্যান্ড উমরাহ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ওমরাহ যাত্রীরা বাস এবং প্রাইভেট কারের সম্পূর্ণ সিট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হোটেলের ক্ষেত্রে প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ২ জনের অবস্থান বলবৎ থাকবে। আগে যাত্রীরা বাস ও গাড়ির ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রেখে চলাচল করতেন।
ওমরাহ করতে যাওয়া যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত (খোলা) স্থানে মাস্ক পড়া আর বাধ্যতামূলক থাকবে না (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। তবে বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পড়তে হবে। খবর বার্তা সংস্থার।
আজ থেকে মক্কার মসজিদ আল-হারাম (কাবা শরিফ এলাকা) এবং মদিনার মসজিদে নববীতে ধারণক্ষমতার সম্পূর্ণ অংশে মুসল্লিরা যেতে পারবেন ও নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখানে কর্মরত কর্মী এবং আগত ভিজিটরদের অবশ্যই সার্বক্ষণিক মাস্ক পড়তে হবে।
ওমরাহ, নামাজ, জিয়ারতের জন্য আগের মতোই ওমরাহ কোম্পানি থেকে তাসরিয়া বা তাওক্কালনা অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। তবে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ ছাড়া কিংবা তাওয়াক্কালনায় এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কেউ এসব জায়গায় যেতে পারবেন না।
সৌদি গেজেটের খবরে জানা যায়, আজ থেকে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করা মুসল্লিরা স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে আসতে পারবেন। তবে মুসল্লিদের ইমিউনিটি পরিস্থিতি নিশ্চিত করে ‘তাওক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। তাছাড়া মসজিদের ভেতর মুসল্লি ও কর্মীদের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আগের মতোই থাকছে।
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর তা স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করল সৌদি আরব। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।