ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের বাইরে সরিয়ে দিচ্ছে

42

ভোটের তারিখ যত এগিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ‘নৈরাজ্য’ ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে ততই ‘সরিয়ে দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় জোটের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী হামলা, সহিংসতা, নৈরাজ্য তত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে পুলিশি নির্যাতন, হামলা ও গ্রেপ্তার। খবর বিডিনিউজের
পুলিশ প্রশাসনকে অবিলম্বে ‘অত্যাচারের পথ পরিহার করে সঠিকপথে ফিরে আসার এবং নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে ‘সঠিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান গণফোরাম সভাপতি কামাল।
ভোটের আগে ‘মামলা-হামলায়’ সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে অভিযোগ করে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, এসব হামলা নজিরবিহীন। তাতে বোঝা যায় পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রীয় আদেশ-নির্দেশের ভিত্তিতেই করা হচ্ছে। এক কথায়, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব মামলা-হামলা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, পুলিশকে সংঘবদ্ধভাবে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা স্পষ্টত সংবিধানেরর লংঘন। সংবিধানের লংঘন করা গুরুতর অপরাধ এবং স্বাধীনতার ওপরে আঘাত করার শামিল। এর চেয়ে বড় কোনো অপরাধ হতে পারে না।
এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে কামাল হোসেন বলেন, উচ্চ আদলতের নির্দেশে এ পর্যন্ত ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। ১৬ জন প্রার্থী আছেন কারাগারে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের পদে থাকা বিএনপির অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র আদালতে বাতিল হয়ে গেছে
তাদের পদত্যাগপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গৃহীত না হওয়ার কারণে। পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ওই বিধান ‘সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ বলে দাবি করেন আইনজীবী কামাল।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালত একে একে প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করে চলেছেন। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বেই নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে হচ্ছে। এর সুবিধা নিচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা। এর মধ্যে দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল বলেন, মাথা ঠিক করেন, মাথা সুস্থ করেন, সাত দিন পর ভোট। আপনার দুঃশাসন সব স্বৈরাচারকে ছাড়িয়ে গেছে। অর্থহীন বিজয় হওয়ার চেয়ে নির্বাচন হতে দিন। এটাকে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করবেন না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বব ঢাকা মহানগীর (ঢাকা-৪ থেকে ঢাকা ১৮ আসনে) প্রতিটি নির্বাচনী আসনে জনসভা ও গণমিছিল হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন কামাল হোসেন। এছাড়া ২৭ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে ঐক্যফ্রন্ট জনসভা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।