এসডিজি শান্তি সেমিনার নুরুল আলম নিজামী সহিংসতামুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে হবে

39

এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম, ইপসা ও ওয়াই কোয়ালিশন’র যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র কনফারেন্স হলে সম্পন্ন হয়েছে দুই দিনব্যাপী এসডিজি শান্তি বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার। গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনী পর্বে “টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমাজের সকলের অংশগ্রহণ জরুরী” শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সংগঠক ও ইপসা’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামী। প্যানেল আলোচক ছিলেন-এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান‘র রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. ডেভ ডোল্যান্ড, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, কারিতাস-চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজ, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’র চেয়ারম্যান আহছান হাবীব, সূফী গবেষক ও আলোকবর্তিকা’র সভাপতি খাজা ওসমান ফারকী হিমাদ্রী, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা পলাশ কান্তি নাথ রণি। স্বাগত বক্তব্য দেন-ওয়াই কোয়ালিশন’র প্রতিষ্ঠাতা তামজিদ হায়দার তৌরাত সিকদার ও ইপসা’র উপ-পরিচালক নাছিম বানু শ্যামলী। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন- এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’র সার্ভিস লার্ণিং এন্ড কমিউনিটি এনগেজম্যান্ট’র ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, ওব্যাট হেল্পার্স‘র কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আকতার খান, ইপসা’র আরবান ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা ইদ্রিস, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সদস্য মিনহাজুর রহমান শিহাব, ওয়াই কোয়ালিশন’র প্রধান সমন্বয়ক আবু বকর চৌধুরী, ওয়াই কোয়ালিশন’র প্রেস সেক্রেটারী এসকে সাদমান সাকিব প্রমুখ। সেমিনারে প্রধান অতিথি‘র বক্তব্যে নুরুল আলম নিজামী বলেন, সকল ধরনের উগ্রতা-সহিংতা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের সক্রিয়তার বিকল্প নেই। অসাম্য দূরীকরণে এগিয়ে আসতে হবে নতুন প্রজন্মকে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইনে শাসনের পাশাপাশি ন্যায্যতা ভিত্তিক সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পথ প্রসারিত করতে সরকারের পাশাপাশি এনজিও, সকল ধর্মাবলম্বীসহ সচেতন নাগরিকদের সক্রিয়তা অপরিহার্য। তারুণ্যের শক্তির মাধ্যমে টেকসই শান্তি বিনির্মাণ করতে হবে। উগ্রতা ও সহিংসতামুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে হবে । মূল প্রবন্ধে মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে উগ্রবাদ ও সহিংসতা’র মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোভ, হিংসা, অহংকার, বিদ্বেষ ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে উগ্রবাদ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। ড. ডেভ ডোল্যান্ড বলেন, বাংলাদেশ পরমতসহিঞ্চুতা ও শান্তি সম্প্রীতির আদর্শ। প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, অহিংসার মাধ্যমেই সামাজিক সম্প্রীতি বিকশিত হয়। দূর্নীতি প্রতিরোধ ও বৈষম্য দূরীকরণ প্রয়োজন। জেমস গোমেজ বলেন, সকল পর্যায়ে অন্যায্যতা পরিহার করা প্রয়োজন। পলাশ কান্তি নাথ রণি বলেন, সকল ধর্মেই শান্তির কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত ধার্মিক কখনো উগ্রবাদী হতে পারে না। খাজা ওসমান ফারুকী বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানসিক উৎকর্ষতায় সচেষ্ঠ হতে হবে। দু’দিনব্যাপি আয়োজনে সহযোগিতা করছে দি কমনওয়েলথ, এ্যাকশন এইড, খলিলী ফাউন্ডেশন ও এনআইটি। বিজ্ঞপ্তি