এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

11

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে সবুজ শিক্ষায়তন উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক।
অভিযোগে জানা গেছে, নির্ধারিত বোর্ড ফি মানবিক ও কমার্স শাখায় ২ হাজার ২০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ১৪০ টাকা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। অতিরিক্ত টাকা নিলেও রশিদ দিচ্ছে না।
নিবার্চনী পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য বলে অভিভাবকদের নিকট উপস্থাপন করে। আর সে সুযোগে পরীক্ষার সকল শিক্ষার্থীকে সুযোগ করে দেয়ার নামে কোচিং ফি এবং স্পেশাল কোচিং ফি দাবি করছে। ইতিমধ্যে কোচিং ফি এর জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
অভিভাবক মো. সোহেল ও রমজান আলী জানান, বিদ্যালয়টি বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত হাফিজ জুট মিল কর্তৃক পরিচালিত। ২০২০ সালের ১ জুলাই হাফিজ জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা চাকরি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিন যাপন করছেন। আর্থিক অভাবের কারণে অনেক অভিভাবক বিদ্যালয়ের চাহিদার টাকা দিতে পারছেন না। সরকার নির্ধারিত বোর্ড ফি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ফরম পূরণের দাবি তাদের। উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণের চিত্র একই বলে জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে কোচিং ফির নামে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
তবে সবুজ শিক্ষায়তন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর জাহান আক্তার দাবি করেন, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও হাফিজ জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার তথ্য জানা নেই। এই রকম তো করার কথা না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার দাবি করে সবুজ শিক্ষায়তন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম সরকার বলেন, নির্ধারিত বোর্ড ফির অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সুযোগ নেই। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যদি কোন বিদ্যালয় অতিরিক্ত ফি আদায় করে, আমরা প্রমাণ পেলে সেই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।