নিজস্ব প্রতিবেদক
‘এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন লোহাগাড়ায় পুলিশের উপর হামলাকারী কবির আহমদ। এলাকার কেউ তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে প্রতিশোধ নিতে দেরি করতেন না। অবৈধ অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা, মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে’।
গতকাল শুক্রবার নগরীর চান্দগাঁওয়ে র্যাব-৭ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবল মো. জনি খানের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার মূল আসামি কবির আহমদের বিরুদ্ধে আরও ৩টি মামলা দায়ের করা হবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এসময় তার সহযোগী কফিল উদ্দিনকেও আটক করা হয়। তাদের কাছে অস্ত্র, গুলি ও মাদক পাওয়া গেছে। পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়েছে। পরে কবির আহমদকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার পর কবির আহমদ বান্দরবানের দক্ষিণ হাঙর এলাকায় পালিয়ে ছিলেন। ধরা পরার ভয়ে সেখান থেকে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের একটি দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় চলে আসেন। তার অবস্থানের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালায় র্যাব-৭। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কবির গুলি ছুঁড়লে র্যাবের কনস্টেবল মো. আকরাম আহত হন। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে কবির পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।