এরদোয়ান-পুতিনের সঙ্গে আলোচনা ম্যার্কেলের

20

লিবিয়া সংকট নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। দুই নেতার সঙ্গে আলাদা ফোনালাপে কূটনৈতিকভাবে বিদ্যমান সংকট উত্তরণের উপায় নিয়ে কথা বলেন জার্মান নেতা। সোমবার জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র এ ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে সমপ্রতি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, লিবিয়া পরবর্তী সিরিয়ায় পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। লিবিয়া সরকারের অনুরোধে স¤প্রতি দেশটিতে সেনা মোতায়েনে সায় দেয় তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে এজন্য তুরস্কের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এরদোয়ান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট অধিবেশনে এ ইস্যুতে ভোটাভুটি করা হবে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) সরকারের অনুরোধে দেশটিতে সেনা পাঠাতে যাচ্ছে তুরস্ক। মূলত বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুর্কি বাহিনীকে পাশে চাইছে লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার। অন্যদিকে খলিফা হাফতারকে সরর্থন দিচ্ছে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। বার্লিনে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, লিবিয়ায় তুর্কি সেনা পাঠানোর পরিকল্পনায় তার দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং সংকট উত্তরণে কূটনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টা জোরদারের আহŸান জানান। এমন সময়ে তিনি এ আহŸান জানালেন যার দুই দিন আগেই ত্রিপোলির দক্ষিণে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতারের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে লিবিয়ার সরকারি বাহিনী। শনিবার ত্রিপোলি বিমানবন্দরের কাছেই ভলকানো অব রেজ অপারেশন নামের এ অভিযান শুরু হয়।
ভলকানো অব রেজ অপারেশন-এর মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, হাফতারের সমর্থনে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়া। তবে লিবীয় বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। তারা হাফতার বাহিনীর কাছ থেকে কয়েকটি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। একটি সামরিক যান ও কয়েকটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারি বাহিনীর একজন সদস্য আশরাফ আল মাহজৌবি। তিনি বলেন, আজ আমরা অগ্রসর হয়েছি। শত্রূরা (হাফতার বাহিনী) পরাজিত হয়েছে। তারা পালিয়ে গেছে।