এমপি মোস্তাফিজ কান্ডের ভিডিও ভাইরাল!

74

রাগান্বিত অবস্থায় বেফাঁস কথাবার্তা ও উদ্ভট আচরণের কারণে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হওয়া বাঁশখালীর সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান আরেক কান্ড ঘটিয়েছেন। এবার তার বেফাঁস মন্তব্যের টার্গেট হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নিজের গাড়িতে চড়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় পেছনে বসা সঙ্গীদের সাথে আলাপচারিতায় তার বেফাঁস মন্তব্যের দুই মিনিটের একটি ভিডিও গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হয়েছে।এদিকে, এমপি মোস্তাফিজের বেফাঁস মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যার পর নগরীর চেরাগী মোড়ে বিক্ষোভ করেছেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা তার কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন। এছাড়া, আজ মঙ্গলবার বিকালে আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগ এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ আহবান করেছে। তবে, ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে এমপি মোস্তাফিজের মতামত জানতে একাধিক দফায় যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, চলন্ত গাড়িতে সামনের সিটে চালকের পাশে বসে পেছনে থাকা সঙ্গীদের সাথে আলাপচারিতায় মেতেছেন এমপি। আলাপের বিষয় এবং কথা বলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, ভিডিওটি একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ধারণকৃত। তার পেছনে বসা ঘনিষ্ঠদের কারও মোবাইলে সেটি ধারণ করা হলেও স¤প্রতি তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ভিডিওটিতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ছোট করা হয়েছে দাবি করে এমপি মোস্তাফিজ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় যা বলেছেন তার তরজমা করলে দাঁড়ায়, ‘আনোয়ারায় আখতারুজ্জামান চৌধুরীর বাবুর জনসভায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বাবু মিয়া না হলে শেখ রেহানা লন্ডনে বসবাস করতে পারতো না, শেখ হাসিনা রাজনীতি করতে পারতো না। জাবেদ তুমি এগিয়ে চলো।’
এরপর বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য অপমানজনক দাবি করে এমপি মোস্তাফিজ আলাপচারিতায় উল্লেখ করেন, বিষয়টি সংসদে তিনি নেত্রীর কানে দিয়েছেন এবং নেত্রীকে নাকি বলেছেন আর একবার বললে আমি ওবায়দুল কাদেরের কলার ধরে ফেলব। নেত্রী এসময় তাকে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দেন। এরপর আলাপের ফাঁকে ফাঁকেই এমপি মোস্তাফিজকে আপত্তিকর ও শিষ্টাচারবহির্ভূত শব্দ উচ্চারণ করতে শোনা যায়। একপর্যায়ে তিনি লিটনের ছেলেদের গুলি করার কথাও বলেন।
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। এরপর সদ্য সমাপ্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।