এবার সিনোফার্মের টিকার অপেক্ষা

19

চট্টগ্রামের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে বন্ধ রয়েছে টিকা কার্যক্রম। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে টিকার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। চট্টগ্রামে মজুদ শেষ হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় টিকার অপেক্ষায় আছেন প্রায় দুই লক্ষ মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে টিকার কার্যক্রম। টিকা এলে রেজিস্ট্রেশন ও টিকা প্রদান কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চট্টগ্রামে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫ লক্ষ ৪২ হাজার ২৭৪ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন। অর্থাৎ এখনও প্রথমডোজের টিকা পায়নি ৮৮ হাজার ৫১৪ জন। বর্তমানে প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৫ জন। অর্থাৎ এখনও দ্বিতীয় ডোজের টিকা পায়নি ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৮৫ জন। বর্তমানে সীমিত পরিসরে শুধুমাত্র ফ্রন্টলাইরাদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে চায়না থেকে আসা ৫ লাখ ডোজ টিকার মধ্যে চট্টগ্রামে আসবে ৯০ হাজার ডোজ। এসব টিকা পাবেন ফ্রন্টলাইনার, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি পূর্বদেশকে জানান, টিকা সংকট শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারাদেশেই একই চিত্র। চট্টগ্রামে টিকার মজুদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। নতুন উৎস থেকে টিকা না আসা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে টিকার ডোজ নেওয়ার সময় ৪ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন শুধুু ফ্রন্টলাইনারদের সীমিত পরিসরে টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা না আসা পর্যন্ত কোনভাবেই টিকা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে চায়না থেকে আসা টিকা থেকে ৯০ হাজার ডোজ চট্টগ্রাম পাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সবকিছু হবে নীতিমালা অনুযায়ী। এখনও ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে নীতিমালা দেয়নি। চায়নার টিকার কিছু অংশ পাবেন মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নীতিমালা অনুযায়ী টিকাগুলো প্রদান করা হবে।
এদিকে গতকাল বুধবার চায়নার উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছায়। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিনোফার্মের টিকা ও এডি সিরিঞ্জ বহনকারী বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইট এসু৩এজিএফ কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
চীনের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান গণমাধ্যমকে জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপহারের টিকা চীনের রষ্ট্রদূত লি জিমিং আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত সোমবার ঢাকায় ভার্চুয়াল সম্মেলনে চীনের রাষ্ট্রদ‚ত বলেন, চীনের টিকার চাহিদা অনেক দেশের আছে। তাই বাণিজ্যিকভাবে যেটা বাংলাদেশ পেতে চায়, সেই টিকা পেতে বাংলাদেশের সময় লাগবে। তাছাড়া বাংলাদেশ এক সপ্তাহ আগে শুধু সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।