এবার রাঙামাটি শহরের বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে

48

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ বেষ্টিত নি¤œাঞ্চলগুলো। বর্তমানে হ্রদের পানি বেড়ে লেভেল ১০৫.৯৬ এমএসএল এ দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের মিজোরাম থেকে পানি আসছে কর্ণফূলী নদী হয়ে। হ্রদের পানি বাড়ার কারণে তলিয়ে যাচ্ছে শহরের নিচু এলাকার বাড়িঘর। ইতিমধ্যে পৌর কসাই কলোনি, রিজার্ভ বাজার, রিজার্ভ মুখ ও পর্যটন এলাকার বেশ কিছু বাড়ি ঘরে পানি উঠতে শুরু করছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে অচিরেই তলিয়ে যাবে শহরের অসংখ্য বাড়িঘর।
কাপ্তাই জলবিদ্যুতের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুর জাহের বলেন, চাইলেই কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া যাবে না। এ পানি থেকে বিদ্যুৎ তৈরি, হ্রদে মাছ চাষসহ আরও অনেক কিছু জড়িত আছে। পানি ছাড়লে চট্টগ্রাম শহর তলিয়ে যাবে। আর রাঙামাটিতে ভারি বৃষ্টিপাত হলে লেকের পানি বৃদ্ধি পায়, তার কারণ হলো হ্রদ ভরাট হয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাঙামাটি হ্রদের লেভেল অনুযায়ী ১০৯ এমএসএল পরে বাড়ি ঘর তৈরি করার কথা। কিন্তু নিয়ম অমান্য করে পানি লেভেলের নিচে বাড়িঘর নির্মাণ করছে লোকজন। এভাবে নিয়ম অমান্য করা হলে হ্রদকে বাঁচানো সম্ভব নয়।
পরিবেশবাদীরা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হলেও এসব এলাকায় বন্যা হওয়ার কথা নয়। এসব দুর্যোগ হচ্ছে মানুষের কারণে। অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণসহ পাহাড়ের যত্রতত্র স্থান থেকে মাটি কেটে ফেলার কারণে দ্রæত কাপ্তাই হ্রদ ভরে যাচ্ছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার আরেকটি কারণ হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে বর্জ্যসহ নানা পদার্থ ফেলা হচ্ছে। ক্যাপিটাল ড্রেজি করা হলে কাপ্তাই হ্রদ ও স্থানয়ীরা রক্ষা পাবেন বন্যা থেকে।
এদিকে জেলার বাঘাইছড়ি, বরকল, নানিয়ারচর, লংগদু বিলাইছড়িতে বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। যেসব আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন অবস্থান করছিলেন, তারা নিজ নিজ বাড়ি ঘরে ফিরে গেছেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের এনডিসি উত্তম কুমার দাশ বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় যারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন, তারা গতকাল চলে গেছেন। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ নেই। জেলার যেসব উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল, সেসব উপজেলাগুলোতেও পানি কমে গেছে।