এপিকটায় রেকর্ডসংখ্যক পুরস্কার বাংলাদেশের

41

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ঘোষণা করা হলো এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ড (এপিকটা)-২০১৯ এর বিজয়ীদের নাম। সদ্য সমাপ্ত এবারের আসরে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।তিনটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন এবং চারটি ক্যাটাগরিতে পাঁচটি মেরিট পুরস্কারসহ মোট আটটি পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের প্রকল্পগুলো।
২২ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ভিয়েতনামের হা লং শহরের ডায়মন্ড প্যালেসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের অস্কার হিসেবে খ্যাত এবারের আসরে চতুর্থবারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এবার টেকনোলজি (আইওটি) ক্যাটাগরিতে বন্ডস্ট্যাইন’র পিজি ট্র্যাকার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল (জেনারেল) ক্যাটাগরিতে সূর্যমুখী এবং ইনক্লুষণ (হেলথ এন্ড ওয়েল বিয?িং) ক্যাটাগরিতে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) একশপ চ্যাম্পিয়ন পদক অর্জন করে।
অন্যদিকে কনজিউমার (মার্কেটপ্লেস) ক্যাটাগরিতে সিগমাইন্ডের ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটার ভিশন টেকনোলজি ফর ভিডিও অ্যানালিটিক্স, কনজিউমার (ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স) ক্যাটাগরিতে সিএমইডি ডিজিটাল প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস মডেল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ক্যাটাগরিতে প্রাইড সিস আইটি লিমিটেড এবং পাবলিক সেক্টর ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার (৩৩৩) এবং দূতাবাস ‘মেরিট’ পজিশন অর্জন করে। মেরিট পজিশন অর্জনকারীদের দেওয়া হয় এপিকটার বিশেষ সনদপত্র।
এপিকটার প্রেসিডেন্ট স্ট্যান সিংঘ, ভিয়েতনাম সফটওয়্যার অ্যান্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ভিনাসা) সহ-সভাপতি লু থান লং এবং ভিনাসার মহাসচিব মিস নিগুয়ে থি থু জাং বিজয়ীদের মাঝে পদক ও সনদপত্র তুলে দেন।
ঐতিহাসিক সাফল্যে উৎফুল্ল বাংলাদেশ দলের প্রধান এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমবার আমরা একটি মেরিট, পরের দুইবার একটি করে উইনার এবং কিছু মেরিট পজিশনে জিতেছিলাম আমরা। এবার সব রেকর্ড ভেঙে তিনটি উইনার এবং চারটি ক্যাটাগরিতে পাঁচটি মেরিট সম্মাননা অর্জন করেছি। এটা পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয় যে, প্রতিনিয়ত আমরা ভাল করছি। আগামীবার দেখা যাবে এর থেকে ভালো করবো আমরা।
তিনি আরও বলেন, যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের জন্য শুভ কামনা তো থাকলই, আর যারা হতে পারেনি তাদের জন্য এখানেই কিছু শেষ না। বরং এখানে তাদের যে অভিজ্ঞতা হল, নেটওয়ার্কিং হলো সেটা থেকেই ব্যবসায় আরও ভাল কিছু করা যেতে পারে। সূত্র : ইন্টারনেট