এটা একটা দুর্বল ভবিষ্যৎ বাণী

198

আমাদের দেশে যেসকল বুদ্ধিজীবী টেলিভিশন টক্ শোতে অংশ নেন, উনারা খুব সুন্দর কথা বলেন। উনাদের সুন্দর যুক্তিপূর্ণ তর্কবিতর্ক শোনার জন্য টিভি দর্শকশ্রোতা ভাত পানি ছেড়ে টিভি সেটের সামনে বসে থাকেন। টক শোর উপস্থাপক বা এ্যংকর এর দায়িত্ব যারা পালন করেন, তারাও সুন্দর সুন্দর কথা বলে দর্শককে মুগ্ধ করেন। ফেসবুকে অনেকে লাইভে এসে মুখরোচক কথা বলেন। মানুষ ফেসবুকে লাইভও এনজয় করে। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। টক শোর এ্যংকর মাঝে মাঝে ধৈর্য হারিয়ে একনাগাড়ে কথা কেবল বলতেই থাকেন। টক্ শোর বুদ্ধিজীবীরা কথা শুরু করলে থামাতে পারেননা। আর লাইভে আসা- অখ্যাত থেকে খ্যাত হওয়া মানুষ- আবোল তাবোল বকেন। সেফুদা (?) নামে এক আধা পাগলকে ফেসবুক লাইভে মাঝে মাঝে দেখি, আবোল তাবোল বকেন। এখন তো সে এমন বেয়াদবি করেছে যা ক্ষমার অযোগ্য। বেশি কথা বলা খারাপ। যারা বেশি কথা বলে, তাদের কাছ থেকে দুরে থাকবেন। প্রশ্ন হলো, একেবারে কম কথায় কি আমরা আমাদের প্রয়োজন সারতে পারি?
আদালতে এক সাক্ষী বেশি কথা বলছিল। তা দেখে সরকারি উকিল রেগে আগুন। উকিল বল্লেন, অবান্তর কথা বলবেননা। বাচালতা ভাল নয়। এটা কোর্ট। এটা আপনার পাড়ার চা দোকান নয়। আপনাকে যা জিজ্ঞেস করা হবে তার জবাব শুধু মাত্র “হ্যাঁ” আর “না”তে দিবেন। সাক্ষী হাতজোড় করে বলে, স্যার, সব প্রশ্নের উত্তর কি “হ্যাঁ” অথবা “না” তে দেয়া যায়? উকিল কড়া চোখে তাকায়। আলবৎ দেয়া যায়। আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন? আমি কেমন সংক্ষেপে কম কথায় ফডাফড উত্তর দিই? সাক্ষী বলে, উকিল স্যার, আপনি বিজ্ঞ, আপনাকে জিজ্ঞেস করেই ফেলি? আপনি খুশী মনে শুধু “হ্যাঁ” কিংবা “না” বলে দিন। উকিল বল্লেন, জিজ্ঞেস করুন। সাক্ষী বল্ল, স্যার আপনার স্ত্রী কি আপনাকে পেটানো ছেড়ে দিয়েছেন?
বেশি কথা বললেও বিপদ আছে। মাসুমকে তার বাবা বল্ল, তুই শশুর বাড়ি গেলে শ্বশুর শাশুড়ীর সাথে কম কথা বলিস কেন? তুমিই তো আমাকে বেশি কথা বলতে মানা করেছ, মাসুম উত্তর দেয়। বাবা বল্লেন, শ্বশুর শাশুড়ীর সাথে মন খুলে কথা বলবি। মাসুম শ্বশুর বাড়ি গেছে। গেটে শ্বশুরের সাথে দেখা। জামাইকে দেখে শ্বশুর খুশী। বল্লেন, এসো, বাবা এসো। তোমাদের বাড়িতে সকলে ভাল আছেন? মাসুম বলে, জ্বী বাবা। আমাদের বাড়ির সবাই ভাল। আমি চিন্তায় আছি আপনার শরীর নিয়ে। আপনি কাজকর্ম করতে পারছেন? আপনার ক্ষেতে ফলন ভাল হইছে তো? এবার নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছিলেন বাবা? শ্বশুর চিন্তায় পড়ে যান। জামাই বেশি কথা বলছে- মনে হচ্ছে? সে তো লাজুক ছিল ? মাসুম থেমে নেই। মাসুম বলে, বাবা, আপনি বিয়া শাদী করেছেন? আরে বেকুব, তোর শ্বশুর বিয়া শাদী না করলে, তোর কাছে মাইয়া বিবাহ দিল কোত্থেকে? দেখুন, কথা কম বললে ঝামেলা, কথা বেশি বললে আরো বেশি ঝামেলা। আপনি যাবেন কোথায়?
আগের দিনে আমি জোকস এবং কমিকসের বই কিনতাম- রিডার্স ডাইজেস্ট কিনতাম। “লাফটার দ্যা বেস্ট মেডিসিন”- পড়তাম। এখন ইন্টারনেটে জোকস পড়ি। (আমার জোকসগুলি সংগৃহীত)। অধিকাংশ ইন্টারনেট থেকে।
(মিনি সাঈদের পোস্ট থেকে নেয়া) বাসের মধ্যে কথোপকথন:- প্রথম ব্যক্তি: আপনি কোথায় থাকেন? দ্বিতীয় ব্যক্তি: আমি ঢাকায় থাকি। প্রথম ব্যক্তি: আরে? আমিও তো ঢাকায় থাকি। দ্বিতীয় ব্যক্তি: আপনি ঢাকায় কোথায় থাকেন? প্রথম ব্যক্তি: আমি মহম্মদপুরে থাকি। দ্বিতীয় ব্যক্তি: আরে আমিও তো মহম্মদপুরে থাকি? প্রথম ব্যক্তি: মহম্মদপুর কয় নাম্বারে থাকেন? দ্বিতীয় ব্যক্তি: মহম্মদপুর ৩নং রোডে থাকি। প্রথম ব্যক্তি: আরে, আমিও তো মহম্মদপুর ৩নং রোডে থাকি? দ্বিতীয় ব্যক্তি: ৩নং রোডে কয় নং বিল্ডিং-এ থাকেন? প্রথম ব্যক্তি: ৩নং রোডের ১২ নং বিল্ডিং-এ থাকি। দ্বিতীয় ব্যক্তি: আরে আমিও তো ১২নং বিল্ডিং-এ থাকি। প্রথম ব্যক্তি: ১২নং বিল্ডিং এর কয় তলায় থাকেন? দ্বিতীয় ব্যক্তি: আমি ৫ তলায় থাকি। প্রথম ব্যক্তি: আরে আমিও তো ৫ তলায় থাকি। পাশে থাকা এক লোক বলল আরে ভাই আপনারা তো একই বিল্ডিং এর একই ফ্লোরে থাকেন, অথচ একজন আরেকজনকে চিনেন না? উনারা দুজন বলেন, আরে ভাই, আপনার সমস্যা কি? জ্যামের মধ্যে সময় কাটানোর জন্য আমরা বাপ বেটা একটু আলাপ করতেছি আর কি।
মানুষের বড় শত্রু তার জিহবা। বাজে কথা বলা বিপজ্জনক। ইয়োর টাং মে বিকাম ইয়োর বেস্ট এনিমি। সেফু নামে এক লোক ফেসবুকে কোরান নিয়ে বাজে কথা বলেছে। কোরান অবমাননাকারী, সে মানুষ নয়। তার কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। কোরান আমার ঈমানের রজ্জু। আল্লাহর প্রতি আমার আত্ম সমর্পণের যে অনুভ‚তি, এই বোধকে সে হত্যা করেছে। এরা মানুষ নয়, কুকুরের চাইতেও খারাপ।
আমরা ব্যবসাবাণিজ্য ভাল বুঝি। পয়সাও কামাতে জানি। আমাদের যে বুদ্ধি আছে তা অন্য দেশের মানুষের নাই। ঢাকায় এক হেকিম আছেন। উনি অন্য ডাক্তারের মত রোগী দেখেননা। রোগী এলে বাহিরের ঘরে বসানো হয়। বাহিরের ঘর থেকে হেকিমের চেম্বার পর্যন্ত একটি মোটা রশি টানানো আছে। রোগী বাহিরের ঘরে এসে রশির এক প্রান্ত দুই হাত দিয়া ধরে। রশির ভেতরের প্রান্ত ধরেন হেকিম- কিছুক্ষন পর রোগীর কাছে প্রেসক্রিপসন পাঠিয়ে দেন। এই চিকিৎসায় রোগী ভাল হয়। অপারেশন, কাটাছেড়া, এক্সরে, ইকো, এনজিওগ্রাম, এমআরআই- এসব ছাড়া এমন চিকিৎসা কে না পছন্দ করে? এক লোক হেকিমকে জব্দ করার মানসে একদিন দেওড়ি ঘরে এক পাঁঠা নিয়ে আসে। দেখছেন কারবার?পাঁঠা ছাগল নিয়ে এসেছে। রশির প্রান্ত ছাগলের গলায় বেঁধে দেয়। ভেতর থেকে হেকিম প্রেসক্রিপসন পাঠায়, আমি পশুর ডাক্তার নই। (প্রশ্ন: হেকিম কি করে বুঝলো ওটা ছাগল ছিল?)
(এই জোকটা ইন্টারনেট থেকে নেয়া, পোস্ট করেছেন, রাবেয়া বসরী) অন্ধ এক লোক রেস্টেুরেন্টে খেতে ঢুকেছে। ম্যানেজার দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করে, আপনাকে মেনু বলব স্যার? লোকটি বলে, আপনি রান্না করার খুন্তি নিয়ে আসুন, আমি গন্ধ শুঁকে খাবারের অর্ডার দেবো। ম্যানেজার রান্না ঘর থেকে একটা খুন্তি এনে দিতেই সেটা শুঁকে নিয়ে বললো আমাকে গার্লিক ব্রেডের সাথে স্প্যানিশ ওমলেট দিয়ে যান। ম্যানেজার অবাক। একটু আগে ওই খুন্তিদিয়ে স্প্যানিশ ওমলেট বানানো হয়েছে। এই ভাবে অন্ধ লোকটা রোজ আসে।আর হাতা বা খুন্তি শুঁকে পছন্দের খাবার অর্ডার দেয়। ওই সব খাবারের অর্ডার সে দেয়, ঠিক যে যে রান্না সেদিন হয়েছে। ম্যানেজার ভাবল তাকে পরীক্ষা করব। হাতাটা নিয়ে পরের দিন ভালো করে ধুয়ে মুছে কিচেনে গিয়ে ম্যানেজারের বৌ সোনালীকে বল্ল, তুমি এতে ভাল করে তোমার ঠোঁট ঘষে দাও। সোনালী তাই করে স্বামীর হাতে দিল। ম্যানেজার অন্ধকে হাতাটা দিতেই, লোকটি ওটা শুঁকে আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল ও মাই গড্, আমার পুরোনো প্রেমিকা, এই রেস্টুরেন্টে কাজ করে। কই সে? লোকটি অন্ধ হলেও চক্ষুষ্মানের চাইতেও চালাক।
হেকিম রশি স্পর্শ করে, অন্ধ গন্ধ শুঁকে বুঝতে পারে, কার কি অসুখ এবং কেকি রান্না করেছে। অন্ধ খুন্তি শুঁকে বুঝতে পারে, তাতে তার প্রেমিকার ঠোটের স্পর্শ লেগে আছে। এটা অসাধারন গুন। এই গুন রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের মধ্যে থাকলে তার সামনে সাফল্যের রাস্তা সহজে ধরা দেবে। নেতার গাড়ির বাম্পার স্পর্শ করে যদি বুঝতে পারেন, নেতার মনো জগতে কি তোলপাড় হচ্ছে- তাহলে আপনার উত্থান ঠেকাবে কে? ক্ষমতায় যে আসবে আসুক, আপনি যদি তার প্রিয় পাত্র হয়ে সুবিধা ভোগ করতে চান, তাহলে আপনি ওই হেকিম কিংবা অন্ধ লোকটির খোঁজ খবর নিন। রাজনীতি এখন রাজনীতি নাই, এটা এখন বেশি কথা বলার আর্ট, রাজনীতি এখন রশিওয়ালা হেকিম আর গন্ধ বুঝতে পারা অন্ধের বিচরন ক্ষেত্র। ত্যাগী কর্মীরা রশির ভাষা বোঝেনা, গন্ধও শুঁকতে জানেনা। ত্যাগীরা না খেয়ে মরে। আগামী ৫ বছর পর যখন নির্বাচন আসবে তখন আপনি আর কোন ত্যাগীকে খুঁজে পাবেন না। তখন থাকবে কেবল রশিওয়ালা হেকিম আর গন্ধ শোঁকা অন্ধ।
তখন দেশের মানুষের অবস্থা কি হবে? এটা ব্যতিক্রমি ভবিষ্যতবাণী। আপনারা ক্ষমতাসীন মেয়র, মন্ত্রী, এমপিরা ভেবে দেখুন, আপনাদের আগে পিছে যে ঝাঁক ঝাঁক তদবীরকারী দৌড়াচ্ছে, তারা আগে কোথায় কার আগে পিছে দৌড়াত? ত্যাগী কর্মী আপনার দয়ার আশায় আপনাকে তেল মারবে? সুবিধাবাদীদের থেকে দুরে থাকুন। না হলে পস্তাবেন। যারা তেল মারে, তাদের অতীত জানার চেষ্টা করুন।
একজন ডাক্তার বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতালের চাকুরী ছেড়ে কানাডায় গিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সেলসম্যানের চাকুরী নেয়। স্টোরের মালিক তাকে বল্লেন, তোমার পুর্ব অভিজ্ঞতা আছে? তিনি জানালেন, দেশে তিনি একজন ডাক্তার ছিলেন। চাকুরীর প্রথম দিনে তিনি মনোযোগ দিয়ে কাজ করলেন। সন্ধ্যে ৬টায় ছুটির সময় বস্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আজ তুমি কজন ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করেছ? তিনি উত্তর দিলেন, আমি আজ সারাদিন একজন ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করেছি। মালিক বল্লেন, মাত্র একজন? এখানকার প্রত্যেক সেলসম্যান দিনে ২০ থেকে ৩০ জন ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করে। তা তুমি কত ডলারের পণ্য বিক্রি করেছ? তিনি বল্লেন, ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ডলারের। বস অবাক হয়ে বল্লেন, এটা কিভাবে করলে? তিনি বল্লেন, ওই ক্রেতার কাছে প্রথমে মাছ ধরার একটি ছোট্ট বড়শি বিক্রি করেছি। তারপর একটি বড় ও একটি মাঝারি বড়শি বিক্রি করলাম। এরপর একটি বড় ফিশিং রড আর কয়েকটি ফিশিং গিয়ার বিক্রি করলাম। তারপর আমি (সেলসম্যান) তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কোথায় মাছ ধরবেন? তিনি বল্লেন, তিনি সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায় মাছ ধরবেন। তখন আমি তাকে বল্লাম, তাহলে তো আপনার একটি নৌকার প্রয়োজন হবে? আমি তাকে নীচ তলায় নৌকার ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। ভদ্রলোক সেখান থেকে ২০ ফুট দীর্ঘ দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট নৌকা কিনলেন। এরপর আমি তাকে বল্লাম, এই নৌকা আপনার ভক্সওয়াগন গাড়িতে ধরবেনা। একটা বড় গাড়ির প্রয়োজন। আমি তাকে অটো মোবাইল ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। আমার পরামর্শে তিনি নৌকাটি বহন করার উপযোগী একটি গাড়ি বুকিং দিলেন। এবার আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, মাছ ধরার সময় কোথায় থাকবেন? তিনি জানালেন, এ বিষয়ে তিনি কোন পরিকল্পনা করেননি। আমি তাকে ক্যাম্পিং ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। তিনি আমার পরামর্শমত ছয় জন লোক ঘুমানোর উপযোগী ক্যাম্প তাঁবু কিনলেন। সব শেষে তাকে বোঝালাম, আপনি এত কিছু কিনেছেন, কিছু খাবার ও পানীয় কিনে নিন। ভদ্র লোক দু শ ডলারের দু কেস বিয়ার এবং কিছু মুদির মাল কিনে নিলেন।স্টোরের মালিক বিস্ময়ের সাথে বললেন, যে লোক মাত্র একটি বড়শি কিনতে এসেছিল, তুমি তাকে দিয়ে এতকিছু কেনালে? সেলসম্যান (ডাক্তার) বল্লেন, না স্যার, ওই ভদ্রলোক শুধুমাত্র মাথা ব্যথার ঔষধ কিনতে এসেছিলেন। আমি তাকে বুঝিয়েছি, মাছ ধরলে মাথাব্যথা উপশম হবে। স্টোরের মালিক বল্লেন, এর আগে তুমি কি করতে? তিনি বল্লেন, বাংলাদেশে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার ছিলাম। দরকার হোক বা না হোক, রোগীকে নানা ধরনের টেস্ট দিতাম, ইকো, ইসিজি, সিটি স্ক্যান, এক্সরে, এম আর আই করার পরামর্শ দিতাম। প্রয়োজন না হলেও সিজার করাতাম। এনজিও গ্রাম করাতাম। স্টোরের মালিক বল্ল, আমাকে বাংলাদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে কোন প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছ থেকে। মার্কেটিং পলিসি তারা ভাল জানে। যে রোগী মাথাব্যথার ঔষধ চায়- তাকে দিয়ে গাড়ি, তাঁবু, নৌকা কেনানো কি চাট্টিখানি কথা?
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, উকিল সকলের টাকা প্রয়োজন। জনগণ হচ্ছে, ক্রেতা ও ভোক্তা। কিভাবে ক্রেতা পটানো যায় এটা আমরা শিক্ষিত লোকেরা ভাল জানি। এমন একটা সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, আমাদের কাছে কেউ মাথা ব্যথার কমপ্লেইন নিয়ে আসলে, আমরা তাকে হাজারো পণ্য ধরিয়ে দিয়ে তার পকেট খালি করে দেবো। আমরা একটা পণ্য ভিত্তিক সমাজ তৈরী করবো। সেখানে দয়া মায়া কিছু থাকবেনা। আমাদের নজর থাকবে মানুষের পকেটের দিকে। এটা একটা দুর্বল ভবিষ্যতবাণী। তবে ওদিকেই আমরা যাচ্ছি আমাদের সন্তানদের লক্ষ্য কখন সে লিভার ব্রাদার্স, রবি, আমাজন, গুগল, আলীবাবার সেলসম্যান হবে। কেউ নোবেল পাওয়ারযোগ্য হতে চায়না। কেউ স্টেফান হকিং হতে চায়না।আমার এই লেখা অর্ধেক পড়ে অনেকে ছুড়ে ফেলে দেবে। সবাই সেলসম্যান হতে চায়। যত মাল বিক্রি- তত পয়সা আসবে। পয়সা ছাড়া এখন আর কোন দিকে কারো নজর নাই।

লেখক : সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
ঊ-সধরষ: ভধুষঁষযড়য়ঁবথ৭@ুধযড়ড়.পড়স