এক সপ্তাহ ধরে এক শিশুকন্যা নিখোঁজ : রহস্যের কেন্দ্রে তরকারি বিক্রেতা

16

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিড়ালের বাচ্চা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আবিদা সুলতানা অয়নী (১০) নামে এক শিশুকন্যাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে এক তরকারী বিক্রেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর অভিভাবকরা থানায় মামলা করতে গেলে পাহাড়তলী থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ চট্টগ্রামে শিশুটির মা মোছাম্মৎ বিবি ফাতেমার পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান ও গোলাম মাওলা মুরাদসহ প্যানেল আইনজীবীরা। বিচারক শারমিন জাহান অভিযোগ আমলে নিয়ে সরাসরি মামলা গ্রহণ করতে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, নগরীর পাহাড়তলী থানার কাজীরদিঘী এলাকার একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রীর গত ২১ মার্চ বিকেল থেকে সন্ধান মিলছে না। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাকে ওইদিন দুপুরে স্কুলের সামনে সবজি বিক্রেতা রুবেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এর আগে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিড়ালছানা কেনার আবদার করেছিল। চাকরিজীবী মা বেতন পেলে কিনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটি জানিয়েছিল, সবজি বিক্রেতা রুবেল তাকে বিড়ালছানা এনে দেবে বলেছে। তবে মা ও দাদী অপরিচিত লোকের কাছ থেকে বিড়ালছানা নিতে নিষেধ করেন। মামলার আরজিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দু’জনের কথোপকথনের সময় রুবেলের হাতে বাজারের থলে এবং সেখানে একটি বিড়ালছানা দেখা যায়। রুবেলের কাছ থেকে শিশুটিকে সেই থলে নিতেও দেখা যায়। এরপর তাদের আর দেখা যায়নি।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে ওসি পাহাড়তলীকে মামলা নিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলার অভিযোগে শিশুকন্যাটির মা জানান, আবিদা সুলতানা আয়নী পাহাড়তলী কাজীর দীঘি এলাকার একটি বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২১ মার্চ স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে বিড়াল ছানা দেয়ার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় তরকারী বিক্রেতা মো. রুবেল অপহরণ করে নিয়ে যায়। যা সিসিটিভির ভিডিও ফুটেছে শনাক্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এখনও শিশুটি নিখোঁজ রয়েছে।
শিশুর মা আরও অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ আসামি রুবেলকে ধরলেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে আসামি তার বেশভ‚ষা পরিবর্তন করে এলাকায় অবস্থান করছে’।