সীতাকুন্ড প্রতিনিধি
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সাগরে জাল ফেলে মাছ ধরা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে সীতাকুন্ড উপজেলা প্রশাসন। এ সময় এক লাখ চিংড়ি পোনা ও ৩০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সীতাকুন্ড উপজলো নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসনে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযান চালিয়ে এক লাখ চিংড়ি পোনা, ত্রিশ কেজি ইলিশ মাছ এবং এক দোকানীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও সীতাকুন্ড থানার এস.আই মো. ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, অবৈধভাবে সাগর থেকে চিংড়ি পোনা আহরণ করার খবর পেয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাচারের জন্য সংরক্ষণ করা অবস্থা থেকে আনুমানিক এক লাখ গলদা চিংড়ি পোনা জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের কথা জানতে পেরে এই চক্রের সাথে জড়িত অনেকেই পালিয়ে যায়। অভিযানে চিংড়ি আহরণ ও পরিবহনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাধি জব্দ করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত চিংড়ির পোনা কুমিরা ঘাটঘর সাগর উপক‚লে অবমুক্ত করা হয়। একইভাবে লাইসেন্স না থাকার অপরাধে বড় কুমিরা বাজারের পশু খাদ্য ভান্ডারের মালিক কামরুল হোসাইনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কুমিরার জাহানাবাদ গাবতলী ঘাটে পৌঁছালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দেখে দ্রুত পালিয়ে যায় জেলেরা। তবে ঘটনাস্থলে জেলেদের রেখে যাওয়া ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে সাগর থেকে মাছ ধরার খবর পেয়ে আমরা উপজেলার কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে ৩০ কেজি ইলিশ ও এক লক্ষ চিংড়ির পোনা জব্দ করি। ব্যবসার লাইসেন্স না থাকায় একটি ব্যবসায়ীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত চিংড়ি পোনা সাগরে অবমুক্ত করেছি এবং ইলিশ মাছগুলো নিলামে বিক্রি করেছি।