এক মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি ছাত্রলীগের

31

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এক মাসের সময় বেঁধে দেন। গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি পালন করা ছাত্রলীগের এই অংশটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের এই ইউনিটের কমিটি নেই।
চবি ছাত্রলীগ বিলুপ্ত কমিটির অর্থ সম্পাদক এসএম জাহেদুল আউয়ালের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, এইচএম তারেকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর জীবন, ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, ‘২৮ বছর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংসদকে প্রশাসনের অনৈতিক সুবিধার জন্য অচল করে রাখা হয়েছে। সিনেটে শিক্ষার্থীদের কোন প্রতিনিধি না থাকায় শিক্ষার্থীরা সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত। পর্যাপ্ত আবাসন ও যাতায়াত ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এক মাসের আল্টিমেটলি দিয়ে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর একচেটিয়াভাবে তাদের অনৈতিক সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু তাদের এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল ছাত্রসংগঠনের সাথে আলোচনা করে ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও তফসিল ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সকল ছাত্রসংগঠন কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন আমরাও চাই। তবে সন্ত্রাস, হানাহানি, সহিংসতার মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হোক এমন নির্বাচন চাই না। কোন প্রকার ঝামেলা হবে না- এমন নিশ্চিয়তা দিয়ে ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ লিখিতভাবে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করলে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হবে।’