এক ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ নয়: বিভাগীয় কমিশনার

13

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান বলেছেন, মানুষের জন্ম একবার, মৃত্যুও একবার। তাই জন্ম-মৃত্যু সনদ থাকবে একটি করে। দেশের সকল নাগরিক যদি জন্ম ও মৃত্যু সনদের আওতায় আসে তাহলে এ দেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান হিসাব করতে সহজ হবে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। একজন ব্যক্তির একাধিক জন্ম সনদ থাকতে পারবে না। রোহিঙ্গারা যাতে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য জন্ম নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে। এই বছর রাজশাহী বিভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে। আগামীবার এই অর্জন যেন চট্টগ্রাম বিভাগের হয় অর্থাৎ জেলা পর্যায়ে যেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচিত হয় এ জন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। টিকা প্রদান, স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট ইস্যু, জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ, আইনী সেবাপ্রাপ্তি ইত্যাদিসহ ১৮টি গুরুত্বপ‚র্ণ কাজে জন্মসনদ আবশ্যক। সরকার সকলের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি গণপ্রচার করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. উখ্য উইন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ। চট্টগ্রাম কালেক্টরেটের অফিসারবৃন্দ, ইউনিসেফ’র প্রতিনিধি, চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।