একের পর এক ‘বোতলজাত তেলের খনি’র সন্ধান

30

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর সল্টগোলার ঈশান মিস্ত্রীর বাজার ও ইপিজেড মাইলের মাথা এলাকায় ভোক্তা অধিকার ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে দুটি দোকানের গুদাম থেকে ১২ হাজার ২৪০ লিটার সয়াবিন ও পামতেল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া আগের দামে কেনা সয়াবিন ও পামতেল নতুন দরে বিক্রি করায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে আড়াই লাখ টাকা করে মোট পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্র জানায়, রবিবার নগরীর দুটি দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সল্টগোলার ঈশান মিস্ত্রীর বাজারে মেসার্স আসআদ বাণিজ্যালয়ে আগের কেনা অর্থাৎ ১৩৩ টাকায় সয়াবিন ও ১২৭ টাকায় কেনা পামঅয়েল নতুন দরে বিক্রি করছিল। পাশাপাশি এই দোকানের গোডাউন থেকে ৬ হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন ও পামঅয়েল জব্দ করা হয়। এসময় দোকান মালিক মো. ইলিয়াস হোসেনকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে আগের দরেই তেল বিক্রি করবেন মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন মো. ইলিয়াস।
একইভাবে ইপিজেড মাইলের মাথায় আরেকটি অভিযানে মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দোকানের মালিক আগের কেনা তেল নতুন দরে বিক্রি করায় এই দোকানের মালিককে জরিমানা করা হয়। এসময় দোকানের গোডাউন থেকে ৬ হাজার ১২০ লিটার তেল জব্দ করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ বলেন, আসআদ বাণিজ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. ইলিয়াছ এর দু’টি গুদাম থেকে এবং দোকানের সামনে রাস্তার ওপর রাখা মোট ৩০ ড্রাম খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েল জব্দ করা হয়। খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েল মিলিয়ে মোট তেলের পরিমাণ ৬ হাজার ১২০ লিটার।
ফয়েজউল্লাহ আরও বলেন, এসব তেল গত ৩ মার্চ কিনে মজুত করেন ইলিয়াছ।প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৩৩ টাকায় এবং প্রতি লিটার পামঅয়েল ১২৭ টাকায় তিনি কিনেছেন। গত ৫ মে সরকার খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৮০ টাকা ও পামঅয়েল ১৭২ টাকা দর নির্ধারণ করে দেয়। দুই মাসের বেশি সময় ধরে মজুত রাখা তেলগুলো সরকারিভাবে দাম বাড়ার পর সীমিতভাবে বিক্রি শুরু করেন ইলিয়াছ। কিন্তু দাম নেয়া হচ্ছিল সরকার নির্ধারিত দরে অথবা তারও বেশি। অথচ ইলিয়াছ তেলগুলো কিনেছেন আগের দরে। এছাড়া ইপিজেডের মাইলের মাথা এলাকায় বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানের গুদাম থেকে ৬ হাজার ১২০ লিটার তেল জব্দ করা হয়। আগের কেনা তেল নতুন দরে বিক্রি করায় এই দোকানের মালিককেও আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন জানান, আগের কম দামে কেনা তেল দুই মাস ধরে মজুত করে রেখে অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। তেলগুলো তারা আগের দামে বিক্রি করবেন বলে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।