একেকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে একেকটা মহাদেশ : ড. শিরিণ

13

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার বলেছেন, ‘অনেকে আমাকে বলেন, সাহিত্যকর্ম করতে হলে তো সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হয়। কিন্তু আপনি এত ব্যস্ততার মাঝে কিভাবে মানুষের সাথে মিশতে পারেন? কিভাবে আপনি সাহিত্যকর্ম করতে পারেন? তখন আমি বলি, আমি আমার জীবনে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে পড়িয়েছি। একেকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে একেকটা মহাদেশ। ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে গিয়ে আমি যা জেনেছি তাই আমাকে সাহিত্য রচনার অনুপ্রেরণা যোগায়।’
গতকাল সোমবার চবি ক্যারিয়ার ক্লাব আয়োজিত ‘রোড টু বিসিএস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অনুষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বিসিএস ও সকল প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক প্লাটফর্ম ‘লজেন্স’।
এসময় উপাচার্য উপস্থিত চবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ করে বের হয়ে চবিকে ভুলে গেলে চলবে না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাও না কেন, তোমরা চবিকে মনে প্রাণে ধারণ করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক যোগ্য। বিসিএস ক্যাডার খুব কম লোকই হতে পারে। কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হতে পারোনি বলে থেমে গেলে চলবে না। দেশে আরো অনেক জায়গা আছে যেখানে তোমরা তোমাদের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে পারবে। আমি চাই, আমি আমার জীবনে যা করে যেতে পারিনি আমার শিক্ষার্থীরা যেন জীবনে তা করে যেতে পারে। আমি যদি আমার যাবতীয় কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের জন্য ছোট্ট কিছু করে যেতে পারি সেটাই হবে আমার জীবনের সার্থকতা।’
সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা। তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন ছোট। এই ছোট্ট জীবনে আমাদের এমন কিছু করে যেতে হবে যাতে করে সমাজ এবং ইতিহাস আমাদের মনে রাখে। সমাজ এবং দেশের জন্য অবদান রাখার অন্যতম একটি মাধ্যম হল বিসিএস। কিন্তু বিসিএসই আমাদের জীবনের মূল ভিশন হতে পারে না। আমাদের মূল ভিশন হতে হবে যে সমাজে আমি জন্মেছি, যে সমাজ আমাকে গড়ে তুলেছে তাকে এক পা হলেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিসিএসের বিষয়ে নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এতে বিশেষ আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এবং কার্যনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালী, চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ রাকিব খান, উপ কর কমিশনার (কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রাম) আব্দুল্লাহ ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের শাহরিয়ার আলম, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের মডারেটর আফজালুর রহমান।