একুশের শোক এখন অর্জনের শক্তি ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে শহীদ মিনার

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত শপথে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মাঠ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষ। সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্পের জন্য নগরীর কে.সি.দে রোডে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভেঙে পুনর্নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তাই এবারও অদূরে মিউনিসিপাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনার শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ফুলে ভরে গেছে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি এখন শোক ছাপিয়ে শক্তির প্রেরণার উৎস ও উৎসবের উপলক্ষ হয়ে গেছে।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারির দিন গত মঙ্গলবার ভোর থেকেই শুরু হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের মানুষের আনাগোনা। বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রভাতফেরিতে খালি পায়ে অংশ নেন। চোখের পলকেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে। এর আগে একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা এক মিনিটে পুলিশের সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। নগর পুলিশের একটি চৌকস দল সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী কাউন্সিলরদের নিয়ে শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এরপর একে একে বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুদ্দিন, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর শাখার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংগঠনের উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা ফুল দেন। এরপর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলে সেখানে মানুষের ঢল নামে।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই শুরু হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের মানুষের আনাগোনা। শুরু হয় প্রভাতফেরি। সকালে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে জেলার সভাপতি অশোক সাহা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সিপিবি নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের নেতৃত্বে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির ম্যাজিস্ট্রেট এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, সারোয়ার জাহান, কাজী শরীফুল ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন এবং মো. অলিউল্লাহ।
মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এবং দক্ষিণ জেলার আহব্বায়ক আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দেন। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ফুল দেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, সহসভাপতি প্রবাল দে’র নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক গণসংগঠন উদীচী জেলা সংসদের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ, জেলা আইনজীবী সমিতি, হকার্স সমিতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

সিটি কর্পোরেশন (চসিক) : সিটি কর্পোরেশন এবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিজস্ব অর্থায়নে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে নির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করেছে। উদ্বোধন করেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, বাঙালি জাতীয় চেতনার ভিত্তিভূমি হলো আমাদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়। আমাদের নিজস্বতা-সংগ্রাম-গৌরবময় ইতিহাসের প্রতীক শহীদ মিনার। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের শেকড়ের পরিচয় তুলে ধরতে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলো। নাগরিকদের মনোজাগতিক বিকাশে প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপকভিত্তিক কাজ করা হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই। শত্রæরা নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে আমাদের আত্মপরিচয় থেকে ভুলিয়ে দিতে চায়। এ ষড়যন্ত্র ঠেকাতে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে একুশের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছ, হুরে আরা বেগম, মেয়রের একান্ত সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম, থানা আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ আহমদ, আবু তাহের, রেজাউল করিম কাউসারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন : জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. সরোয়ার কামাল দুলু প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত শুদ্ধ বানান, হাতের সুন্দর লেখা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্য পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের অনেক স্মৃতিকথা আছে। তবে তার স্মৃতি চিহ্নগুলো আমরা ধরে রাখতে পারিনি। আশা করি নতুন প্রজন্মকে এই স্মৃতি চিহ্ন অনুসন্ধান করে আমাদের অতীতকে জাগ্রত করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি একুশে ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে একথা বলেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে অন্যান্যের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, সফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, আবু তাহের, আব্দুল আহাদ, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ টিপু, জাফর আলম চৌধুরী, মো. জাবেদ, কাউন্সিলর ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদসহ ১৫টি থানা, ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর বিএনপি : মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ডা. শাহাদাত বলেন, মহান একুশের চেতনায় আমাদের এখনও পর্যন্ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। বীর বাঙালি স্বৈরশাসন কখনো মেনে নেয়নি। ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না। দেশবাসী গণতন্ত্রের জন্য জেগে উঠেছে। সেই দিন আর বেশি দূর নয়। অচিরেই সকল অপশাসনের অবসান হবে। গণতন্ত্রের বিজয় নিশান উড়বেই। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহŸায়ক এস কে খোদা তোতন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলা দলের ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, কোতোয়ালী থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা মো. আলী মিটু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল বাতেন, আজাদ বাঙ্গালি, ইউসুফ সিকদার, সকিনা বেগম, শ্রমিকদলের শ. ম. জামাল তাহের আহম্মেদ, তাঁতীদলের আহŸায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মহানগন ছাত্রদালের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান প্রমুখ।

মানুষ মানুষের জন্য : মানব জাতির কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন মানুষ মানুষের জন্য মহান শহীদ দিবসে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে। নগরীর কদমতলী পোড়া মসজিদ এলাকায় সংগঠনটি শহীদ দিবসে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিকরণ করেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিখি ছিলেন পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাইতুল জান্নাত মহল্লার মুখ্য সর্দার শওকত আলী, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন আলোসিঁড়ি ক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা মোস্তাক, বর্তমান সভাপতি লায়ন মুরাদ মুন্না, সালাউদ্দিন জাহেদ, রাসেল মুরাদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, মানুষ মানুষের জন্য সংগঠনটি কদমতলী পোড়া মসজিদ এলাকায় গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করে আসছে। তাদের এ কর্মসূচি এরইমধ্যে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।