একবারও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেনি মিয়ানমার

13

পূর্বদেশ ডেস্ক

মামলা রোহিঙ্গা ‘জেনোসাইড’ (গণহত্যা) নিয়ে। দুই দফায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় একবারের জন্যও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেনি মিয়ানমার পক্ষ। মিয়ানমার যে তার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অস্বীকার করতে চাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ। গত সোমবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) যুক্তি উপস্থাপনের সময় গাম্বিয়ার পক্ষে আইনজীবী পল রেইখলার এ যুক্তি তুলে ধরেন।
রেইখলার বলেন, গাম্বিয়া তৃতীয় পক্ষ, সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত নয়, এসব যুক্তি আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমার গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সনদ স্বাক্ষর করেছে। সেই সনদ মিয়ানমারসহ স্বাক্ষরকারী সব রাষ্ট্র মানতে বাধ্য। সনদের সদস্য হয়ে সেই সনদ নিজের পাশাপাশি অন্য সদস্যদেরও মেনে চলার ব্যাপারে যে কোনো সদস্য রাষ্ট্র আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে। মিয়ানমার সনদ মেনে চলার দায় এড়াতে পারে না।
গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সনদ লঙ্ঘন ও রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালে গাম্বিয়া আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। গাম্বিয়ার ওই মামলার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মিয়ানমার। গত ২১ ফেব্রæয়ারি থেকে আইসিজেতে এ নিয়ে শুনানি হয়। সোমবার শুনানির শেষ দিনে গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী এবং মামলায় গাম্বিয়ার পক্ষের এজেন্ট দাওদা অ্যা. জালো মিয়ানমারের আপত্তি নাকচ করার আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত বলেছেন, রায়ের বিষয়ে উভয় পক্ষকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জানানো হবে।
গাম্বিয়ার পক্ষের আইনজীবী পল রেইখলার আদালতে বলেন, মিয়ানমার দ্বিতীয় দফা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় প্রথম দফার যুক্তিই তুলে ধরেছে। মিয়ানমার দাবি করেছে, গাম্বিয়া ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) হয়ে মামলা করেছে। তিনি আদালতকে একটি ভিডিও দেখার অনুরোধ জানান। সেই ভিডিওতে কক্সবাজারে সমবেত লাখ লাখ রোহিঙ্গা ‘গাম্বিয়া’ ‘গাম্বিয়া’ ‘গাম্বিয়া’ বলে ¯েøাগান দেয়।