একই অর্থবছরে দুই দফা পানির মূল্যবৃদ্ধি বেআইনি

36

পানির মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সিদ্বান্তের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার ওয়াসা চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ডিএমডি গোলাম হোসাইন।
এর আগে ওয়াসা প্রাঙ্গণে সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল আবচারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন বলেন, জনগণের সেবার মান না বাড়িয়ে, একই অর্থবছরে দু’দফা মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক, অনৈতিক ও বেআইনি। মূল্যবৃদ্ধির সিন্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে সুরক্ষা পরিষদ চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
সংগঠনের মুখপাত্র হাসান মারুফ রুমী বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, তাই পানির মূল্যবৃদ্ধির আগে জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় আনতে হবে। বর্তমানে চট্টগ্রামের এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে ডুবে থাকে, যা ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়িভাড়া, যোগাযোগসহ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ইতিমধ্যে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির চাপ জনজীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। এ অবস্থায় পানির মূল্য দ্বিতীয় দফায় ৬১.৩% বৃদ্ধি জনজীবনে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়াবে।
সংগঠনের সহ-সভাপতি মুজিবুল হক বলেন, অসংখ্য গ্রাহক নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছেন না। বহু অঞ্চলের গ্রাহক ওয়াসার সরবরাহকৃত পানিতে লবণ, আয়রন ও জীবাণুসহ দূষণের কারণে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি মৃত্যুবরণও করছেন। এদিকে অসংখ্য গ্রাহক দীর্ঘদিন যাবত ভূতুড়ে বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সভাপতি নুরুল আবচার বলেন, ওয়াসা সিস্টেম লস কমিয়ে এবং দুর্নীতিরোধ করে পরিচালন ব্যয় বহুলাংশে নির্বাহ করতে পারে। জাতির যোগ্য সন্তানদের নিয়ে গঠিত ওয়াসা কর্তৃপক্ষের নিকট জনগণের প্রত্যাশাও তাই। অথচ আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, নগরের অলিতে গলিতে অবৈধ সংযোগের ছড়াছড়ি- যার জের টানতে হয় বৈধ গ্রাহকদের। অধিকন্তু ওয়াসারর গৃহীত বড় বড় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সংবাদ আমাদের মর্মাহত করে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হাজী মফিজুর রহমান, হাজী মো. হারুন উর রশিদ, সৈয়দ হোসেন, মো. ইমরান, আব্দুল আজিজ, গোলাম মহিউদ্দিন সর্দার, হারুন সর্দার, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, হাসান মুরাদ শাহ, সানজিদ আহমেদ তাসিফ, মো. মুন্না প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি