এএসআই জাহিদ সাময়িক বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি

36

কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেকে সিভিল পোশাকে পেয়ারা কিনতে গিয়ে বিক্রেতাকে লাথির ঘটনায় সংঘর্ষ, পুলিশের হামলা ও পুলিশ বক্সে ভাঙচুরের ঘটনায় ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কর্ণফুলী থানাধিন শাহমীরপুর ফাঁড়ির এস আই নাছির উদ্দিন বাদি হয়ে ৩৩ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার রাতেই আটক করা হয় ৪ জনকে। পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে আটককৃতদের। পুলিশের দায়েরকৃত এই মামলায় আটক ৪ জন হলেন এনামুল হোসেন আকাশ (২২), মোহাম্মদ রাব্বি (২২), আশিকুর রহমান ইমন (২০) ও আবদুল মান্নান (৩৫)।
এদিকে ৩০ টাকায় পেয়ারা বিক্রি না করায় বিক্রেতাকে লাথি দিয়ে অজ্ঞান করার ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ডিবি পুলিশের এ এস আই জাহিদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিবির বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার মোস্তায়ীন হোসেন জানান, ওই ঘটনায় একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধিন ৩০ টাকায় এক ডজন পেয়ারা কিনতে চান ডিবি পুলিশের ওই তিন সদস্য। তাতে রাজি না হওয়ায় পেয়ারা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী (২৯) কে লাথি দেয় ডিবি পুলিশ। লাথিতে অজ্ঞান হয়ে পড়া বিক্রেতার মৃত্যুর গুজবে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় স্থানীয় জনতা। আটক করে ডিবি পুলিশের এস আই জাহেদ হোসেন। এসময় পালিয়ে যায় ডিবি পুলিশের অপর সদস্যরা। পেয়ারা বিক্রেতার মৃত্যু হয়নি এবং সুস্থ হয়েছে বলে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্থ করলেও একটি পক্ষ পেয়ারা বিক্রেতার মৃত্যু গুজবে রাস্তায় ব্যারিকেড ও পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ইট পাটকেলে আহত হয় কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করে ৪ জনকে।
গতকাল সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানার দায়িত্বরত অফিসার মোহাম্মদ শফিউল জানান, আটককৃত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ১৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর পেয়ারা বিক্রেতাকে লাথি দেয়ার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিবির বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাইন হোসেন জানান, ওই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ১ জনকে। এছাড়া ঘটনার সত্যতা তদন্তে বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।