নগরের কোতোয়ালী থানার টেরিবাজার এলাকায় গিরিধারী চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুলের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
এ কারণে এএসআই কামরুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে। শনিবার (২ মে) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান। শুক্রবার রাতে সিএমপির গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে গিরিধারী চৌধুরীকে টানা হেঁচড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া অপর এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ মেলে।
এসএম মেহেদী হাসান বলেন, কামরুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৯ বিকেলে নগরের টেরিবাজার এলাকায় মারধরের শিকার হয়ে দোকান কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে।
নিহত গিরিধারী চৌধুরী টেরিবাজারের প্রার্থনা বস্ত্রালয়ের কর্মচারী বলে জানায় পুলিশ।
ওই কর্মচারীর মৃত্যুর পর লোকজন জড়ো হয়ে কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুকে দায়ী করে বিচার দাবি করে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই এলাকায় টহল টিমে থাকা কোতোয়ালী থানার এএসআই কামরুল ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছিল।
পরে ঘটনা তদন্তে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটিতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। খবর বাংলানিউজের
