এই সময় মাম্পস

10

অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা

এ সময় শিশুদের, বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়াদের হাসপাতালের বহির্বিভাগ বা চিকিৎসকের চেম্বারে আনা হচ্ছে তাদের চোয়াল ও গলার সংযোগস্থানে ব্যথার সঙ্গে ফুলে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে। কখনো এক পাশে, কখনো দুই পাশে। বাচ্চা খেতে পারছে না, বমি করছে, সঙ্গে হালকা জ্বরও।
মাথাসহ সারা শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গও থাকে। এ সমস্যা মূলত মাম্পস ভাইরাস দ্বারা শিশুদের প্যারোটিড গ্রন্থি আক্রান্ত হওয়ার কারণে হয়ে থাকে, যাকে মাম্পস প্যারটাইটিস বলা হয়।
রোগটি বেশ ছোঁয়াচে। যেখানে জনসমাগম বেশি, সেখানে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ শিশু বিদ্যালয় থেকেই মাম্পস নিয়ে আসে। আক্রান্ত ব্যক্তির লালা বা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। সাধারণত পাঁচ থেকে নয় বছরের বাচ্চারা বেশি সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সবার আগে শ্বাসনালি সংক্রমণ করে। সেখান থেকে লালাগ্রন্থি এবং অবশেষে রক্তের ভেতর ও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
চিকিৎসা
তেমন কোনো চিকিৎসার দরকার পড়ে না। নিত্যদিনের পরিচর্যা, খাওয়াদাওয়া, গোসল, মুখগহব্বর পরিষ্কার রাখা, বিশ্রাম, তরল খাবার একটু বেশি দেওয়া এবং ব্যথা বা জ্বর কমাতে প্যারাসিটামলই যথেষ্ট।
চোয়ালের ফোলা জায়গায় কাপড় গরম করে সেঁক দিলে একটু আরাম লাগতে পারে। মনে রাখতে হবে জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য অ্যাসপিরিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অযথা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দরকার নেই।

লেখক: শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ