এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সংগঠনের ঐক্য

32

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরতরে নির্মূল করে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার নীলনক্সায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ঘাতকদের সেই নীলনকশা-ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুদ্ধার এবং বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয়,
আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছেও প্রশংসিত ও সম্মানিত হয়েছেন।
মেয়র বলেন, আজ আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমরা একটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি। একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সংগঠনের ঐক্য এবং সরকারের সাফল্য ও অর্জনের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সাধারণ মানুষের সাথে একাত্ম হওয়া। শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থান নিয়েছেন, তা আমাদের অস্তিত্বকে সুসংহত করবে। চলমান শুদ্ধি অভিযান তারই একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রকৃত অপরাধীরাই মূল টার্গেট। তাদের দলীয় পরিচয়, প্রভাব বা আত্মীয়তা কিছুতেই আমলে আসবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ প্রত্যয় ও অঙ্গীকারের সাথে ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে দলীয় কর্মকাÐে নিবেদিত হতে পারলে প্রতিক্রিয়াশীলদের সব ষড়যন্ত্র নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতির ভাষণে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যারা সত্যিকার অর্থে দলে অনুপ্রবেশকারী, তাদের একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ধ্বংস করে নিজেদের আখের গুছিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক শক্তিকে কলঙ্কিত করা। এ ধরনের চিহ্নিত ও দূষিত অনুপ্রবেশকারীদের যারা দলে পদ-পদবী দিয়ে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। তাদেরকে বিতাড়িত করে দল, দেশকে নিষ্কন্টক ও নিরাপদ রাখতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম. এনামুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, উপ-প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহŸায়ক মো. ইয়াকুব, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রফিকুল হোসেন বাচ্চু, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. আলী নেওয়াজ।
উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রশিদ, উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মো. ইসহাক, সম্পাদকমÐলীর সদস্য শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মো. হোসেন, জহুর আহমদ, জোবাইরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দিন ইকবাল, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, সৈয়দ আমিনুল হক, পেয়ার মোহাম্মদ, নুরুল আলম, বিজয় কিষাণ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, গাজী শফিউল আজিম, শেখ শহিদুল আনোয়ার, বখতিয়ার উদ্দিন খান, নুরুল আমিন শান্তি, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোহব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মো. জাবেদ, বেলাল আহমদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ, আবু তাহের, মোমিনুল হক, সিদ্দিক আলম, মো. ইসহাক, সাহাবউদ্দিন আহমদ, আনসারুল হক, আবদুল হালিম, শফিউল আলম ছগির, মো. ইলিয়াছ, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান চৌধুরী, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, মো. ইয়াকুব, জামাল উদ্দিন, আবদুর শুক্কুর ফারুকী, নুর মো. নুরু, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, শামসুল আলম, আশরাফুল আলম, আতিকুর রহমান, শেখ সরওয়ার্দী, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, ইকবাল চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নুরুল আমিন কালু, লুৎফল হক খুশী, কায়সার মালিক, সিদ্দিক আহমদ, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর শাহাদাত বরণকারী জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এইচ.এম কামরুজ্জামানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি