এই মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নয় : শিক্ষামন্ত্রী

12

পূর্বদেশ ডেস্ক

নতুন করে করোনা ভাইরাসের বিস্তারের মধ্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের খবর ‘না থাকায়’ এখনই তা বন্ধ করার কথা ‘ভাবছেন না’ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল রোববার সকালে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদে সঙ্গে আলাপে তিনি জানান, বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের কর্মসুচি জোরালোভাবে চলছে, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে টিকাদানে ভাটা পরার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া আমরা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, এখনও কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের খবর আমরা পাইনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এই ব্যাপারটায় নজর রাখছে।
আমাদের জাতীয় যে পরামর্শক কমিটি আছে তাদের সাথেও যোগাযোগে আছি, এখনও ভাবছি না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক বিধি-নিষেধের মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার শ্রেণিকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা।
এরইমধ্যে গত নভেম্বরে করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে।দেশেও ২১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
স¤প্রতি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেখানে উন্মুক্ত স্থানে সবধরনের সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সবাইকে বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে। তবে পরে যদি প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীদের প্রথম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, বিপিএটিসির রেক্টর রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। দুই মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৯ জন সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী অংশ নিচ্ছেন।