ঋণ জটিলতায় বাবলুসহ ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

40

ঋণ জটিলতায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও গণফ্রন্ট প্রার্থী উত্তম কুমার চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল সোমবার নগরীর লাভলেইনে অবস্থিত কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাছাইকালে দুইজনের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাকি ছয় প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, বিএনএফ প্রার্থী এসএম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী এসএম ফরিদ উদ্দিন, ন্যাপ প্রার্থী বাপন দাশগুপ্ত, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পূর্বদেশকে বলেন, ঋণ খেলাপীর জামিনদার থাকায় জাতীয় পার্টি প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও মনোনয়ন পত্র অসম্পূর্ণ থাকায় গণফ্রন্ট প্রার্থী উত্তম কুমার চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। আইন অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সাতদিন পূর্বে খেলাপী ঋণ জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও জাপা প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমার দিন ঋণ পরিশোধ করেছেন। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির প্রেক্ষিতে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক সিআইবি প্রতিবেদনে ঋণ খেলাপীর কথা বললেও যে ব্যাংকে ঋণ ছিল সেই ব্যাংক প্রত্যয়ন দিয়েছে ২০০৬ সালেই তিনি ঋণ পরিশোধ করেছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া কেএন হারবার কনসোলটিয়াম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঋণের জামিনদার ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। গত ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো সিআইবি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো হয়। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর ঋণ পরিশোধ করে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বাবলু। কিন্তু মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সাতদিন পূর্বে ঋণ পরিশোধ না করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন ১৯৭২ এর ১২(১) (এল) অনুযায়ী তিনি নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিচুর রহমান প্রেরিত এক চিঠিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদকেও ঋণ খেলাপী উল্লেখ করা হয়। আওয়ামী লীগের এই নেতা ইমন এ্যাপারেল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংক লালদিঘী কর্পোরেট শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ খেলাপী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় ২০০৬ সালেই ঋণ পরিশোধ করেছেন মর্মে একই ব্যাংকের প্রত্যয়ন জমা দেন। যে কারণে আপত্তি থাকলেও আওয়ামী লীগের এই নেতার মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়।