ঋণখেলাপিদের জন্য ৫ দফায় সময় বৃদ্ধি

15

ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে আবারও সময় বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে যারা খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করেছেন তাদের সুবিধা দিতে এই বাড়তি সময় পাবে ব্যাংকগুলো। বুধবার (২৩ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে ৫ দফায় সময় বাড়ালো।
প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম চালানো যাবে। তবে নতুন করে কোনও আবেদনপত্র নেওয়া হবে না। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এই প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
গত ১৬ মে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, পুনঃতফসিলের সুবিধা নিতে ঋণখেলাপিদের আবেদনের সময় দেওয়া হয় ২০ অক্টোবর। এরপর নতুন করে আর কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করা যাবে না বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এর আগে ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে ৪ দফায় সময় বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১৬ মে জারি করা নির্দেশনায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে খেলাপিদের দাবির মুখে সময় বাড়ানো হয় ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরে আবার সময় বাড়িয়ে করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর। সর্বশেষ এক মাস সময় বাড়িয়ে নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় ২০ অক্টোবর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঋণখেলাপিরা মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবেন। পুনঃতফসিল হওয়া ঋণ পরিশোধে তারা সময় পাবেন টানা ১০ বছর। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরাও এই সুযোগ পাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, এই ধরনের ঋণখেলাপিদের প্রথম এক বছর কোনও কিস্তিও দিতে হবে না। আর চিহ্নিত এই ঋণখেলাপিদের গুনতে হবে ৯ শতাংশেরও কম সুদ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট ও ৯ শতাংশ সরল সুদে ১০ বছরের জন্য ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ নীতিমালা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংকগুলো ৫ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) পুনঃতফসিল করেছে ১৫ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে তিনগুণের বেশি খেলাপি ঋণ নিয়মিত করা হয়েছে।