উৎসবের আমেজ

32

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৬১ জন সাধারণ ও ২৬ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন পর্যন্ত এসব প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে নিজেদের প্রার্থিতার জানান দেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নি কর্মকর্তা মো. মমীনুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম ও জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির (নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন) মহাসচিব নারায়ন রক্ষিত।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আলম পূর্বদেশকে বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) ও জেলা নির্বাচন অফিসে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শেষদিন পর্যন্ত তিনজন চেয়ারম্যান, ৬১ জন সাধারণ ও ২৬ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।’
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে (মিরসরাই) সাধারণ ওয়ার্ড-১ প্রদীপ রনজন চক্রবর্তী, মিহির কান্তি নাথ, কালু কুমার দে, ওয়ার্ড-২ (সীতাকুন্ড) আ.ম.ম দিলসাদ, মো. শওকতুল আলম, ওয়ার্ড-৩ (সন্দ্বীপ) মো. নুরুন্নবী ভুট্টো, মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, নাদিম শাহা আলম, মো. রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, মো. আলাউদ্দীন, শাহেদ সরোয়ার শামীম, মো. মাহফুজুর রহমান, কামরুল জামান আলাল, ওয়ার্ড-৪ (ফটিকছড়ি) আখতার উদ্দীন মাহমুদ, মো. আমান উল্লাহ খান চৌধুরী, ওয়ার্ড-৫ (হাটহাজারী ও নগর আংশিক) মোহাম্মদ আবুল আলম, জাফর আহমেদ, গোলাম মোস্তফা, মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, মো. সেলিম উদ্দীন, এইচ.এম আলী আবরাহা, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ এজহার মিয়া, মো. নুরুল আবছার, মো. মনজুর হোসেন চৌধুরী, ওয়ার্ড নং-৬ (রাউজান) কাজী আবদুল ওহাব, ওয়ার্ড-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আবুল কাশেম চিশতী, ওয়ার্ড-৮ (বোয়ালখালী ও নগর আংশিক) মোহাম্মদ এমরান, এস.এম মিজানুর রহমান, মো. আবুল মোকারম, মনসুর আহমদ, বোরহান উদ্দিন এমরান, মোহাম্মদ ইউনুছ, ওয়ার্ড-৯ (কর্ণফুলী ও নগর আংশিক) ইসলাম আহমদ, অধ্যাপক মো. রাশেদুল আলম, ওয়ার্ড- ১০ (পটিয়া) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দেবব্রত দাশ, ওয়ার্ড-১১ (চন্দনাইশ) মো. শেখ টিপু চৌধুরী, আবু আহমেদ চৌধুরী, ওয়ার্ড-১২ (আনোয়ারা ও নগর আংশিক) এস.এম আলমগীর চৌধুরী, মোহাম্মদ আবুল বশর, ওয়ার্ড-১৩ (বাঁশখালী) মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, শাহদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রায়হাদ চৌধুরী, মো. হামিদ উল্লাহ, কল্যান বড়ুয়া, মো. নুর হোছাইন, এম জিল্লুর করিম শরিফী, মো. নুরুল মোস্তফা সিকদার, মোজাম্মেল হক সিকদার, মোহাম্মদ আলমগীর কবির, মো. খালেকুজ্জামান, ওয়ার্ড-১৪ (সাতকানিয়া) গোলাম ফেরদৌস, মনির আহমেদ, কামাল উদ্দিন, আব্দুল মালেক খান, আবদুল আলীম, ওয়ার্ড- ১৫ (লোহাগাড়া) আনোয়ার কামাল, মোহাম্মদ এরফানুল করিম চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ড-১ জাহান আরা নাজনীন, ইয়াছমিন আক্তার কাকলী, রওশন আরা বেগম, ইসমত আরা সুলতানা, নার্গিস আকতার, দিলোয়ারা বেগম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড-২ দিলোয়ারা ইউসুফ, এডভোকেট উম্মে হাবিবা, জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নিপা, সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৩ তাহমিনা আক্তার চৌধুরী, তিষন ভট্টচার্য, জগদা চৌধুরী, শারমিন আকতার, মোস্তফা রাহিলা চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৪ দিলোয়ারা বেগম, মোছাম্মৎ দিলুয়ারা বেগম, রেহেনা বেগম ফেরদৌস চৌধুরী, সাজেদা বেগম, সুমি দে, মোছাম্মৎ ফারহানা আফরীন জিনিয়া, সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৫ দিলোয়ারা বেগম, রুখছানা আকতার, শাহিদা আকতার জাহান, শিকু আরা বেগম, তাসলিমা আক্তার ও সুরাইয়া খানম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১৯-২১ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র আপিল, আপিল নিষ্পত্তি ২২-২৪ সেপ্টেম্বর, ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর। ১৫ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৭৩১ জন। পুরুষ ভোটার দুই হাজার ৯৪ জন ও মহিলা ভোটার ৬৩৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫টি ও ভোটকক্ষ ৩০টি।

আচরণবিধি ভাঙলেন সাংসদ মোছলেম : গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমাদানকালে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের মনোনয়ন জমাদানকালে সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদের উপস্থিতি নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ১৪ ধারা ও উল্লেখ আছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আলম বলেন, ‘জেলা পরিষদ আচরণবিধিতে স্পষ্ট করা আছে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনের পূর্ব সময় পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এর আওতায় সংসদ সদস্যরাও আছেন।’