উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

9

 

করোনা মহামারির পর দীর্ঘ সময় ধরে স্থবির অবস্থায় ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বিনোদনকেন্দ্র, পরিবহন সেক্টরসহ সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়। এছাড়া উপায়ও নেই। সবকিছু স্থবির থেকে প্রাণ ফিরে পেল। অর্থনীতির চাকা আবার ঘুরতে শুরু করেছে। মানুষের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কড়াকড়ির কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করলেও স্কুলের বাইরে অবস্থানরত বেশিরভাগ অভিভাবকরা মাস্ক পরিধান না করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে একেবারে উদাসীন। পর্যটন স্পটগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে না। আবার স্বাস্থ্যবিধি নজরদারি করার মতো নেই কোনো ব্যবস্থা। বিনোদন স্পটগুলোতে হোটেল-মোটেল চালু হওয়ায় পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন যেকোনো মুহূর্তে ভাইরাসের হটস্পটে পরিণত হতে পারে তাদের আবাসস্থল। এখন বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কমছে বটে; কিন্তু এতে খুব বেশি আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বের অনেক দেশে সংক্রমণ এভাবে কমে আবার বেড়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
সবচেয়ে বেশি দরকার ব্যাপক হারে টিকা দেওয়া। সরকার সেই দিকে এগুচ্ছে। তাই পর্যটন স্পটগুলোতে সরকার জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করাসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নিতে পারে। অন্যথায় আবার যদি করোনা সংক্রমণ শুরু হয় তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত এবং মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা সংক্রমণরোধে সরকারকে সহায়তা করা সকলের দায়িত্ব।