উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নেওয়া হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে

26

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ থেকে রক্ষায় সাতক্ষীরা জেলার লোকজনকে ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে অন্য জেলার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম শুরু হবে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১২ হাজার ৭৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপকূলীয়সহ মোট ১৯টি জেলা- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর,
বরিশাল, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৫০ লাখ নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ টাকা, গো খাদ্য জন্য ২৮ লাখ টাকা এবং শুকনো ও অন্যান্য খাবারের ৪২ হাজার প্যাকেট ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৮ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অনলাইন ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সিনিযর সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে যেন খাবারের অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের ব্যবস্থা করা হযয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন সমূহকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খবর বাংলানিউজের