উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

18

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ভূ-প্রকৃতিগতভাবে চট্টগ্রাম হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক জনপদ। প্রায় ৭০ লক্ষ জনঅধ্যুষিত এই জনপদের কল্যাণ ও উন্নয়নে আমি আমার সামর্থ্য উজাড় করে দিয়েছি। নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা, তা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কিছু মেগা প্রকল্প সংয্ক্তু হয়েছে। এগুলো বাস্তাবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ওয়াসাসহ যে সরকারি স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তার পারস্পরিক সমন্বয় প্রয়োজন। নগর উন্নয়নে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেভাবে যা কিছু দরকার তা করতে আমি উদ্যোগী হয়েছি। আমি আশা করি এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা থাকবে। এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে পরবর্তীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন রাজনীতিক হিসেবে আমি যে অবস্থানেই থাকি না কেন তাতে আমি একাত্ম হবো।
গতকাল বুধবার সকালে শুলকবহর ওয়ার্ডস্থ নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৪ ও ৫নং সংযোগ সড়কে ব্রিজ নির্মাণ কাজ, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নকৃত রাস্তা ও দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ৪র্থ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের এ নগরীর উপর প্রবাহিত ৩৬টি খাল পানি নিষ্কাশনের প্রধান নির্গমন পথ। এ নগরীতে যেগুলো পাহাড় পরিবেষ্টিত এলাকা রয়েছে তা থেকে যে মাটি নিচে নেমে আসে তার ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা আগেই গ্রহণ করা উচিত ছিল। তবে এখন যা হয়েছে তার বাস্তবায়ন যদি সম্ভবপর হয় তাহলে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সমন্বয়ের উপরেই গুরুত্ব দিই। চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি ও আধাসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষগণ সরকার নিযুক্ত ও নিয়োগকৃত। তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র পদে থেকে জবাবদিহিতার সকল দায়ভার আমার কাঁধে চেপে বসেছে। এই দায় বহন করে আমি কি করতে পেরেছি বা কি করতে পারিনি তার মূল্যায়ন নগরবাসীর উপর ছেড়ে দিলাম। তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিত নগরায়নের ক্ষেত্রে যে কোনো আবাসিক এলাকায় যুগোপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে সেখানে অধিবাসীদের জীবন স্বাচ্ছন্দ হবে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাপনাকে সক্রিয় রাখতেই আজ যে প্রকল্প শুরু হলো তার সুষ্ঠু ও যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সকলেই উপকৃত হবেন।
মেয়র প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।
এ সময় কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সিদ্দিক, সহকারী প্রকৌশলী মিসবা উল আলম, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির সেক্রেটারি মো. শাহাজাহান, মো. ইদ্রিস, যুবনেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান, জাফর সাদেক, তাজ উদ্দিন মোহাম্মদ শিমুল, রাইসুল উদ্দিন সৈকত, মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন, আলাউদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি