উদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ শিশু নয় মিলেছে টনে টনে আবর্জনা

15

চশমা খালে তিনদিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশুটির সন্ধানে অব্যাহত অভিযানে শিশুটির হদিস পাওয়া না গেলেও মিলছে টনে টনে ময়লা-আবর্জনা। ঘটনাস্থল ও আশপাশের নালা থেকে এ পর্যন্ত ১০ টনের মত ময়লা-আবর্জনা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশি পাওয়া গেছে ষ পৃষ্ঠা ৭, কলাম ৬.
ষ প্রথম পৃষ্ঠার পর
প্লাস্টিকের বোতল, ককশিট ও পলিথিন। ময়লা-আবর্জনা সরাতেই আসল অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কের জেকস মার্কেটের সামনে নালায় পড়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী সাদিয়াকে উদ্ধারের ক্ষেত্রেও ১০ টনের অধিক আবর্জনা খাল থেকে তুলতে হয়েছে। ২৫ আগস্ট মুরাদপুরে সড়ক ও ফুটপাতের সাথে লাগোয়া একটি নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সালেহ আহমদ নামে এক ব্যক্তি। তার হদিস মিলেনি এখনও।
এদিকে নিখোঁজ শিশু কামাল উদ্দিন আদৌ ঘটনাস্থল বা কোথাও ময়লা-আবর্জনার ভেতর আটকে আছে কিনা, সিটিও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী টিম।
চসিকের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ষোলশহরের চশমা খালে চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় বাঁধ দেয়া হয়েছে। সেখানে একটা ক্রসকালভার্টও আছে। এজন্য ময়লা-আবর্জনা সহজে যেতে না পেরে সেগুলো আটকে আছে। ড্রেনের ভেতর ময়লাও বেশী, এজন্য কেউ খাল-নালায় পড়ে গেলে আর উঠতে পারছে না।
এ প্রকল্পের অধীনে সংস্কারের কাজ চলা খালগুলোতে পড়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্ন উঠছে এসব বর্জ্য পরিষ্কারের দায়িত্ব কার? স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপর বর্তালেও চলমান প্রকল্প হওয়ায় সব ধরনের ‘মেইনটেইনেন্স’ কাজ বাস্তবায়নকারীর সংস্থার বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি জানান, আমি কিছু খালে পরিষ্কার করা শুরু করছিলাম। একোতো আমাদের খাল পরিষ্কারে বাজেট নেই। তার উপর সিডিএ’র প্রকল্পের অধীনস্ত খালে পরিষ্কার করতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখিন হই। তাছাড়া কোনো সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে প্রকল্প এলাকার সবধরনের মেনটেইনেন্স করবে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। তবুও যখন যেখানে প্রয়োজন আমাদের সংস্থা থেমে থাকছে না।