উত্তর জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ডে আটকে রইল দুই শীর্ষপদ

66

পদত্যাগ করলেন নতুন কমিটির দুই
সহ-সভাপতি মানিক ও সুমন
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের বিগত কমিটির সভাপতি ছিলেন সীতাকুÐের এসএম আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হাটহাজারীর এসএম রাশেদুল আলম। দুই নেতা রাজনৈতিকভাবে সফল। দুইজনই সীতাকুÐ ও হাটহাজারীর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গত সোমবার গঠিত নবগঠিত কমিটিতেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সীতাকুÐ ও হাটহাজারী থেকে। শুধু পদের পরিবর্তন হয়েছে। এবার সভাপতি হাটহাজারী গেলেও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সীতাকুÐের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি পদে আসা এক নেতা বলেন, ‘উত্তর জেলা যুবলীগ হাটহাজারী ও সীতাকুÐে ঘুরপাক খাচ্ছে। গত কমিটিতেও এই দুই উপজেলার দুই নেতা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবারও এই দুই উপজেলা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বাকি উপজেলায় যারাযুবলীগ করেন তাদের কোন যোগ্যতা নেই মনে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এখানে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি। অর্থের হিসেব-নিকেষ হয়েছে। যিনি সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তার নামও তেমন আলোচনায় ছিল না। মূলত বিগত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করে কমিটি ভাগিয়ে নিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মতামত প্রাধান্য পায়নি। অথচ দক্ষিণ জেলার কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতাদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।’
গত সোমবার গঠিত কমিটিতে গতবারের সাধারণ সম্পাদক হাটহাজারীর এসএম রাশেদুল আলমকে সভাপতি ও সীতাকুÐ যুবলীগ সভাপতি মো. শাহজাহানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ কমিটিতে ৯ জনকে সহ-সভাপতি করা হলেও কমিটি গঠনে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই সহ-সভাপতি নুরুল মোস্তফা মানিক ও রাজিবুল আহসান সুমন পদত্যাগ করেছেন। দুইজনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। এরমধ্যে সুমন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহ-সভাপতি নূরুল মোস্তফা মানিক পূর্বদেশকে বলেন, ক্ষোভ থেকে নয়, নিজের ইচ্ছে থেকেই পদত্যাগ করেছি। এখনো চিঠি কেন্দ্রে পাঠাইনি। ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আবারও সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করাটা আমি সমুচিত মনে করছি না। আমিতো সভাপতি পদের জন্য সিভি জমা দিয়েছিলাম। যে কারণে এ পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
আরেক সহ-সভাপতি স›দ্বীপের রাজিবুল আহসান সুমন বলেন, আমি উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি হতে সিভি জমা দিয়েছি। যেহেতু আমি সহ-সভাপতি পদে সিভি জমা করি নাই, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সহ-সভাপতি পদে আমার নাম প্রস্তাবও করা হয়নি। তাই সহ-সভাপতি পদে থাকার আমার কোন আগ্রহ ও ইচ্ছা নাই। নবগঠিত উত্তর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকৈ আমি পদত্যাগ করেছি। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেকবার গ্রেপ্তার ও পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ২০১০ সালে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর আর কোন বড় পদে দায়িত্ব না থাকায় এবার সভাপতি হতে চেয়েছিলাম। সেটি না করে সহ-সভাপতি করায় আমি এ পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।