উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা

7

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ নুর খান, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার সাইদ ইরান, সদস্য আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীরসহ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পটভূমি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাÐের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বৈরি আবহাওয়া, তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এক নজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে সেদিন ঢল নামে মানুষের। জনতার কণ্ঠে বজ্র নিনাদে সেদিন ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে।’ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘটনাবহুল এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ঐক্য ধরে রেখে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে সব হারিয়ে দেশে ফিরে দেশের মানুষকে যে কথা দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই কথা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, রায়ও কার্যকর হয়েছে। টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে থেকে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে দেশকে সারা বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বিজ্ঞপ্তি