উত্তর কোরিয়ায় কঠিন সংকটের হুঁশিয়ারি কিম জং উনের

14

কঠিন এক সংকটের জন্য প্রস্তুত হতে নাগরিকদের আহবান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর তরফ থেকে উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য সংকট ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এই আহবান জানালেন তিনি। দলীয় এক সম্মেলনে কিম জং উন বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৯০ দশকের প্রাণঘাতী দুর্ভিক্ষের সঙ্গে তুলনা করেন। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। এর কারণে দেশটির অর্থনীতির চালিকা শক্তি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়াও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দেশটির ওপর বহাল রয়েছে কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির খারাপ অবস্থা নিয়ে বিরল স্বীকারোক্তি দিয়ে বৃহস্পতিবার কিম জং উন দলীয় কর্মীদের আরেকটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান। তিনি কর্মীদের ‘আর্ডাস মার্চ’-এর প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দেন। গত কয়েক মাস ধরেই উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের খাবারের জন্য হাহাকার করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে চীন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে এই খবর আসছে। এসব এলাকার বহু মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস সীমান্ত চোরাচালান।
উত্তর কোরিয়ার প্রধান খাদ্যপণ্য ভুট্টার দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এক পর্যায়ে এক কেজি ভুট্টার দাম একজন মানুষের এক মাসের আয়ের সমানে পৌঁছে যায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক লিনা ইয়োন বলেন, গত দুই মাসে চীন থেকে প্রায় কোনও খাদ্যশস্যই উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেনি। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ ভিক্ষা করছে, সীমান্ত এলাকায় অনেকেই মারা গেছে। আর কোনও খাবার নেই, সাবান নেই, টুথপেস্ট কিংবা ব্যাটারিও পাওয়া যাচ্ছে না।‘ তিনি বলেন, ‘ক্ষুধার কারণে মৃত্যুর কথা জানা যাচ্ছে। আর পরিবার খাবার দিতে অক্ষম হয়ে পড়া শিশু ও বয়স্ক ভিখারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।’