উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা যুবক অপহরণ আটক ১

42

উখিয়ার বালুখালী-২নং ক্যাম্প থেকে মো. রফিক (১৮) নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপহৃত যুককের আত্মীয়স্বজনেরা এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক পূর্বক পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বালুখালী-২ নং ক্যাম্পের ১১ জি-৬ বøকে। দীর্ঘ ১১দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও অপহৃত যুবক উদ্ধার না হওয়ায় তার পরিবারে দেখা দিয়েছে হতাশা। অপহৃত রফিকের পিতা, বালুখালী-২নং ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা ডা. সুলতান আহমদ জানান, গত ১১দিন পূর্বে একই ব্লকের মো. ছলিম নামের এক যুবক কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে মোবাইল করে তার ছেলেকে পালংখালী নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ার পর মো. ছলিমের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে প্রথমে এ বিষয়ে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তাকে জামতলি ক্যাম্পের দিল মোহাম্মদের ছেলে আজিজুল হক (৩০) মোহাম্মদে ছেলে নবী হোছন (৪০) পালংখালী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার আলম (৩০) পাশ্ববর্তী চাকমারকূল পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে কূপিয়ে হত্যা করেছে বলে আমাদেরকে স্বীকারোক্তি দেয়। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মো. ছলিমের এ ধরনের স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও অপহৃত রফিকের পরিবার এ প্রতিবেদকের হাতে দিয়েছে। এ অভিযোগে মো. ছলিমকে আটক করে গত রবিবার রোহিঙ্গারা ক্যাম্প পুলিশকে সোপর্দ করেছে। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মো. ছলিমের বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নুরুল ইসলাম জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগে ক্যাম্প পুলিশ মো. রফিক নামের এক যুবকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ না হওয়ায় তাকে আদালতে প্রেরণ করতে পারছিনা। তবে রফিকের অপহরণের ঘটনায় তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে তিনি জানান। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে এ ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, রফিকের বাড়ি পাশের্^র এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক হয় শাহরিয়ারের সাথে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বাঁধা দেয় মো. রফিক। তার প্রেক্ষিতে পথের কাটা সরাতে শাহরিয়ার তাকে অপহরণ করেছে। তবে এখনো তারা নিশ্চিত হতে পারছেনা সে জীবিত আছে কিনা অনেকের সন্দেহ ছলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে হত্যা করে লাশ ঘুম করা হয়েছে। মো. রফিকের স্ত্রী জমিলা খাতুন (১৭) জানান, গত সপ্তাহে তার একটি সন্তান হয়েছে। কিন্তু এখনো তার বাবাকে দেখেনি। সে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, মো. ছলিম মোবাইল করে বাড়ী থেকে তার স্বামীকে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। ২-৩ অতিবাহিত হওয়ার পর আমি স্বামীকে ফোন করলে কল রিসিভ না হওয়ায় আমার সন্দেহ হয়। এরপর থেকে অদ্যবধি আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।