উইন্সম্যান শিপ-ক্রেন অপারেটর শ্রমিকদের মানববন্ধন কর্ম সমবন্টন ও গ্র্যাচুইটির দাবি

20

চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর ও টার্মিনাল অপারেটর এন্ড শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের অধীনে কর্মরত উইন্সম্যান শিপ-ক্রেন অপারেটর শ্রমিকদের কর্ম সমবন্টন ও গ্র্যাচুইটি বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম বন্দর উইন্সম্যান শিপ ক্রেন অপারেটর কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসাঈনের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন হয়।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বার্থ অপারেটর টার্মিনাল অপারেটর এন্ড শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেলাল হোসাঈন বলেন, আমরা চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ টার্মিনাল ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের অধীনে কর্মরত উইন্সম্যান শিপ ক্রেন অপারেটর শ্রমিকরা মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারী নই। ইন হাউজ কোম্পানিগুলোতে প্রতিমাসে ২৭ থেকে ২৮ দিন ডিউটি হয়। বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যাসোসিয়েশন এর অধীনে ২৭ কোম্পানিতে মাসে ১০ থেকে ১২ দিন হারে ডিউটি হয়, যাদের ডিউটি কম হয় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাই বিষয়টি নিয়ে কর্মরত উইন্সম্যান ক্রেন অপারেটর শ্রমিকদের মনে চরম হতাশা বিরাজ করছে। আমরা ২০০৭ সাল থেকে ও করোনা দুর্যোগকালীন প্রাণের নিরাপত্তার কথা না ভেবে বন্দরকে সচল রাখেছি, কিন্তু আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সুযোগ-সুবিধাগুলোর মধ্যে প্রধান গ্র্যাচুইটি। ইতোমধ্যে আমাদের ছয়জন অপারেটর মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের পরিবারকে আজ পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি প্রদান করা হয়নি। গ্র্যাচুইটি প্রদান না করায় শতাধিক অপারেটর সার্ভিস শেষে অব্যাহতি গ্রহণ করতে পারছে না। তাই উইন্সম্যানদের কর্ম সমবন্টন ও বন্দরের সার্কুলার অনুযায়ী উইন্সম্যানদের তথ্য ফরম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করে আমাদের দাবি সমূহ বাস্তবায়নের সহায়তা করলে আমরা ক্রেন অপারেটর বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মালিকদের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকব।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন খোকন, যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মিজান, অর্থ সম্পাদক মো. নূর আলম প্রমুখ।