‘ঈদের কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে’

22

বৈশ্বিক মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ যখন ক্রমাগত বাড়ছে, সরকার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ২ সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষনা করলেও ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে গত ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেবার অনুমতি প্রদান করেন। ব্যবসায়ীরা মাস্ক পড়া, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শপিংমল খোলা ও দোকানপাট চালু করলেও প্রথমদিনই তাদের সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন নেই। এঅবস্থায় ব্যবসায়ীদের জীবিকা বাঁচানোর “রমজানে একমাস ব্যবসা করবো, পুরো বছর বসে থাকবো”-এ শ্লোগনকে সফল করতে ক্রেতারা যদি হুমড়ি খেয়ে ঈদের বাজার করতে মৃত্যুপুরী শপিংমল ও দোকানে ভিড করেন তাহলে আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য করোনা কিনে আনার মতো বিপর্যয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। ২৬ এপ্রিল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান উপরোক্ত মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা যেহেতু ছোঁয়াছে এবং সংক্রমণ বাড়ার উৎসগুলির মধ্যে গণপরিবহন, শপিংমল ও মসজিদসহ জনসমাগমকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেহেতু নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচার জন্য এসমস্ত ঘটনা এডিয়ে চলার বিকল্প নাই। ব্যবসায়ীদের জীবিকা বাঁচানোর জন্য আপনি যদি বেঁচে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে সেটা করতে পারবেন। কিন্তু জেনে শুনে নিজ ও পরিবারের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনা বুদ্ধিমানের পরিচয় হবে না। ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তীদের ভারতে করোনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অক্সিজেনের জন্য পুরো ভারত জুড়ে হাহাকার এবং মৃত্যুর মিছিল। সোসাল মিডিয়া ও টিভি, পত্র-পত্রিকার কল্যানে আমরা এ সমস্ত সংবাদ শুনলেও আমলে না নেবার পরিনতি ভারতের মতো হবে। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন গণপরিবহন মালিকরা যেভাবে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করে স্বাস্থ্যবিধি ও অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করে নি। সেখানে সরকারী আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসন হাতে গুনা কয়েকটি দায়সারা ফটোসেশনের অভিযান পরিচালনা করেছেন, একই ভাবে ব্যবসায়ীদের শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ নিবেন সে আশা কতটুকু পুরণ হবে তা নিয়ে সন্দিহান। তাই নাগরিক হিসাবে করোনা থেকে নিজ ও পরিবারের সদস্যদেরকে বাঁচাতে নিজের সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিজেকে নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নাই।